ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ২০২ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতল ক্যারিবীয়রা। শেষবার ১৯৯১ সালে ইমরান খানের পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন সাফল্য পেয়েছিল উইন্ডিজ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও অধিনায়ক শাই হোপ দলের ভরসা হয়ে দাঁড়ান। সপ্তম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়ে ইনিংসকে শক্ত ভিত দেন। গ্রিভস ২৪ বলে ৪৩ রান করে ফিরলেও হোপ অপরাজিত ১২০ রানে (৯৪ বলে ১০ চার, ৫ ছক্কা) ইনিংস শেষ করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে উইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৯৪। পাকিস্তানের হয়ে নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তানের রান তাড়ার শুরুটা হয় ভয়াবহভাবে। প্রথম ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিন ব্যাটার—সাইম আইয়ুব, আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান—তিনজনই শূন্য রানে আউট। বাবর আজম ৯ রান করে ফেরেন, সালমান আলি আগার ৩০ রান ছিল দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৯.২ ওভারে ৯২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
ক্যারিবীয় পেসার জেইডেন সিলস ছিলেন পাকিস্তানের বিপর্যয়ের মূল নায়ক। মাত্র ১৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফাইফারসহ ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন তিনি। এটি ওয়ানডেতে কোনো উইন্ডিজ বোলারের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার, উইনস্টন ডেভিস (৭/৫১, ১৯৮৩) ও কলিন ক্রফট (৬/১৫, ১৯৮১)–এর পর।
সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়লেও পরের দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ২–১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা ভেঙে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন করছে ক্যারিবীয়রা।
Discussion about this post