আগের দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তখনই অনেকটা ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে ঢাকা টেস্টের। তবে সহজে হাল ছাড়তে রাজি নয় পাকিস্তান। লড়াই জমিয়ে তোলার চেষ্টা থাকল সফরকারীদের। মোহাম্মদ রিজওয়ানের পর ফাওয়াদ আলমের হাফসেঞ্চুরিতে ৩০০ পূর্ণ করেই চতুর্থ দিনে এসে পাকিস্তান ঘোষণা করে প্রথম ইনিংস। এবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পালা।
এর আগে প্রথম দিন টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে সফরকারীরা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রথম দিন খেলা হয় ৫৭ ওভার। যেখানে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তুলে পাকিস্তান। দ্বিতীয় মাত্র ৬ ওভার ২ বল খেলা হয়। পাকিস্তান আরও যোগ করে ২৭। তৃতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। চতুর্থ দিন সাড়ে ৯টায় খেলা শুরুর কথা ছিল। তবে মঙ্গলবার শুরু হয় সাড়ে ১০টা ৫০ মিনিটে।
এরপর দেড় সেশন ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান যোগ করে পাকিস্তান। ৭৬ রান করেন বাবর। রিজওয়ান ৫৩ ও ফাওয়াদ ৫০ রানে অপরাজিত। ৯৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানে পা দিয়েই ইনিংস ঘোষণা। দুটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। একটি উইকেট নেন খালেদ হোসেন-এবাদত হোসেন।
আগের দিন মাঠেই আসেনি দুই দল। অঝোর ধারার বৃষ্টির মধ্যে হোটেল ছেড়ে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আসার কোন কারণই ছিল না। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি আগের দিন। তবে মঙ্গলবার সূর্য না হাসলেও ঠিকই শুরু হয়েছে ঢাকা টেস্ট। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় খেলা।
দুই দিনের বৃষ্টিতে উইকেট বড্ড অন্যরকম। স্যাঁতস্যাতে। আর বাউন্স অসমান। এ অবস্থায় ব্যাটিং করাটা সহজ নয়। তারমধ্যে বাংলাদেশের বোলিংও ভাল হচ্ছে। অবশ্য সেই প্রতিকূলতার মধ্যে ৯৬ বলে ফাওয়াদ স্পর্শ করেন ফিফটি। ১৫ টেস্টে তার দ্বিতীয় ফিফটি এটি, শতক আছে ৫টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ (ডি.) (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ২৩-৩-৮৮-১, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, সাকিব ১৯-৭-৫২-০, তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, মিরাজ ১৪-২-৩৭-০)।
# চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত
Discussion about this post