ক্রিকেট ক্যালেন্ডার এখন যেন এক নিঃশ্বাসের দৌড়। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-একটির পর একটি টুর্নামেন্টে মাঠে ব্যস্ততা চরমে। এর মাঝেই ২০২৭ সালের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন উচ্ছ্বাস। আইসিসির পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে আফ্রিকার তিন দেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তাদের আট ভেন্যুর নাম। জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবান, পোর্ট এলিজাবেথ, ব্লুমফন্টেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্লে হবে ৪৪টি ম্যাচ। বিশ্বকাপের বাকি ১০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। তবে এখনো নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, কোন ভেন্যুতে কোন ম্যাচ বসবে। সূচি ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে পুরো আয়োজন।
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব নিতে আলাদা কমিটি গঠন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাবেক অর্থমন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েলকে করা হয়েছে আয়োজক কমিটির প্রধান। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রিহান রিচার্ডস বললেন, এ আয়োজন কেবল ক্রিকেট নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বৈচিত্র্যকে তুলে ধরারও সুযোগ। তাই ভেন্যু ও ম্যাচ আয়োজনের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। তার বিশ্বাস, এর মাধ্যমে আফ্রিকার সঙ্গে বিশ্বের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
২০০৩ সালের পর আর কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়নি আফ্রিকার মাটিতে। দীর্ঘ বিরতির পর ফেরার এই আয়োজন তাই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটি আয়োজন করেছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০০৭) ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০০৯)। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আবহ আলাদা, আর সেটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এখন থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
এই আয়োজনের আগে অবশ্য সামনে আসছে আরেকটি বড় মঞ্চ। ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গতবার বার্বাডোজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত জিতেছিল সেই ট্রফি। এবার তারা নামবে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। এর পরেই ক্রিকেটবিশ্ব তাকাবে আফ্রিকার দিকে, যেখানে ২০২৭ সালে আবার বাজবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের উৎসবের বাঁশি।
Discussion about this post