ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ব্যাটসম্যানরা রানের ফোয়ারা বইয়ে দিলেন পাল্লেকেলেতে। তার পথ ধরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে বাংলাদেশ গড়েছে একাধিক রেকর্ড। ব্যক্তিগত অনেক মাইলফলকের পাশাপাশি দলীয় অর্জনের সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে দল। শুক্রবার টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটির দল গড়েছে আরেক কীর্তি। যা বাংলাদেশ অর্জন করতে পারেনি এর আগে।
টেস্টের অভিজাত ফরম্যাটে বাংলাদেশের পথচলা প্রায় ২১ বছরে। এই সময়ে ১২২ ম্যাচ খেললেও এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই খেলতে পেলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এই টেস্টের প্রথম দিন তামিম ইকবাল করেন ওয়ানডে স্টাইলে ফিফটি। ৯০ রানে আউট হন তিনি। একইদিন ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৪ রানে মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় দিনে শান্ত ১৬৩ রানে আউট। এরপর ১২৭ রান করেন মুমিনুল। শুক্রবার তৃতীয় দিন সকালে লিটন দাস ৫০ রান করে আউট। আর ইনিংস ঘোষণার সময় মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৬৮ রানে। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে শুধু সাইফ হাসান ফিরলেন শূন্য রানে।
প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচ ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার হয়েছে। সব পজিশন মিলিয়ে এক ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া পাঁচ ইনিংস আগে দুইবার দেখেছে টাইগার ক্রিকেট। প্রথমবার ২০১২ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে। তখন তামিম করেন ৭২। চারে নেমে নাঈম ইসলাম ১০৮, পাঁচে সাকিব আল হাসান ৮৯ রান। ছয়ে নেমে মুশফিক ৪৩ রানে আউট। এরপর সাতে নাসির হোসেন করেন ৯৬ ও আট নম্বরে মাহমুদউল্লাহ তুলেন ৬২ রান।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে তামিম করেন ৫৬ রান। তিনে মুমিনুলের ব্যাটে ৬৪ রান। এরপর পাঁচে নেমে সাকিব ২১৭ ও ছয়ে মুশফিক ১৫৯ রান। সাতে নেমে সাব্বির রহমান অপরাজিত ৫৪ রানে। বিস্ময়কর হলেও সত্য দুইবারই হেরেছে টিম বাংলাদেশ।
এছাড়া নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ভাঙে বিরাট কোহলির ভারতের করা চার বছর আগের একটি রেকর্ড। ৮ বছর বাদে নিজের রেকর্ডই আরও একবার স্পর্শ করল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে এক হাজারে বেশি বলে ব্যাট করল টাইগাররা। মোট ১৭৩ ওভার ব্যাট করার পর ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধিনায়ক মুমিনুল। ৮ বছর আগে মানে ২০১৩ সালে বাংলাদেশই গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯৬ ওভার ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় ক্যান্ডি টেস্টে ৪৮৭ রান করে অলআউট হয়েছিল ভারত। এত দিন ধরে এই মাঠে ভারতের এই স্কোরই ছিল টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। চার বছর পর এই রেকর্ড ভাঙল বাংলাদেশ দল।
Discussion about this post