বুলাওয়েতে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে আরও একটি একপেশে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হেলায় ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। সিরিজে আন্ডারডগ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশই করল বিরাট কোহলির দল।
শনিবার টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন কোহলি। ফল সেই একই। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং কঙ্কাল বেরিয়ে পড়া। ৭২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ঠেলেঠুলে ৩৯.৫ ওভারে অল আউট ১৬৩ রানে। স্বাগতিকদের ইনিংসে ঘাতক-সফরকারীদের লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র। পাশের বড় ভাইদের (দক্ষিণ আফ্রিকা) রোগ আর কি! স্পিন দেখলেই ভড়কে যাওয়া। ৮.৫ ওভারে ৪৮ রানে মিশ্র নিয়েছেন ৬ উইকেট। ২০ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটাই এখনতক তার সেরা বোলিং। গোটা সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরেও মিশ্র। ম্যাচ শেষে স্বল্পভাষী এ স্পিনার বলেছেন-‘পারফরম্যান্স করায় ভালো লাগছে। তবে এর পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। আমার গুগলি পড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা।’ জিম্বাবুয়ে ইনিংসে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান (৫১) শন উইলিয়ামস। ৩২ রান করে যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
ভারতের জয়টা অনায়াস হলেও সিরিজটা ভালো যায়নি চেতেশ্বর পুজারার। দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও রান পাননি তিনি। এ ম্যাচে ফিরেছেন শূন্য রানে। বোল্ড কাইলি জারভিস। এরপর ভারত অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকায়নি। শিখর ধাওয়ান তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ৩৮ বলে করেন ৪১ রান। মেরে যার ১ ছক্কা এবং ৬ চার। ঠিক হাফসেঞ্চুরি (৫০) করে ওয়ালারের বলে বোল্ড হন অজিনকা রাহানে। বাকি কাজটুকু সেরে নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও দিনেশ কার্তিক। ৩৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৭ রান করে দলকে জিতিয়ে যখন দু’জনে সাজঘরে ফেরেন তখন জাদেজার নামের পাশে অপরাজিত ৪৮ ও কার্তিকের পাশে হার না মানা ১০ রান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ বাছতে মিশ্র ছাড়া আর কারও নাম ওঠার কথাও নয়, ওঠেওনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে : ১৬৩/১০, ৩৯.৫ ওভার (উইলিয়ামস ৫১, মাসাকাদজা ৩২, চিগুম্বুরা ১৭; মিশ্র ৬/৪৮)। ভারত : ১৬৭/৩, ৩৪ ওভার (ধাওয়ান ৪১, রাহানে ৫০, জাদেজা ৪৮*; জারভিস ২/১৮)।
ফল : ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : অমিত মিশ্র।
সিরিজ : ভারত ৫-০ তে জয়ী।
Discussion about this post