ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জাতীয় দলের সবচেয়ে প্ররিশ্রমী ক্রিকেটারের খোঁজ করতেই সবার আগে আসবে মুশফিকুর রহিমের নাম। খেলা থাকুক বা না থাকুক এর প্রমাণ মুশি দেন দারুণভাবে। অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। ফিটনেস নিয়ে প্রচুর কাজ করেন। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ড শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামই যেন ঘরবাড়ি মুশফিকের। কিন্তু গত মার্চ থেকে করোনার কারণে স্টেডিয়াম থেকে দূরে এই ক্রিকেটারসহ সকলেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গৃহবন্দি হয়ে সময় কাটাচ্ছেন সকলে। বিসিবি’র দেওয়া রুটিন মেনে ফিটনেস নিয়েও কাজ করছেন।
কিন্তু অনুশীলন, সবুজ ঘাসকে প্রচুর মিস করছিলেন মুশফিক। বিসিবি’র কাছে মাঠে ফিরে একা অনুশীলনের জন্য অনুমতিও চেয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি।
সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে কবে আবার হাঁটা হবে মুশফিকের? মুশফিক সেই হিসেবে আরও যেতে চাননি। অনুশীলন না হোক, অনেক দিন পর প্রিয় মাঠটি দেখতেই মিরপুরের সবুজ গালিচায় গেলেন মুশফিক। সময়ের হিসাব বলছে ১১২ দিন পর হোম অব ক্রিকেটে গেলেন।
সেখানে নিজের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে জানালেন, প্রিয় মাঠটিকে খুব মিস করছেন তিনি, ‘সালাম সবাইকে। আমি এই অসাধারণ মাঠটি অনেক বেশি মিস করছিলাম। একমাত্র আল্লাহ জানে আবার কখন আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারবো।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুশফিক গিয়েছিলেন সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এছাড়া বিসিবিও মাঠ এখন জীবাণুনাশক এবং সঠিক পরিচর্যায় নতুন করে গড়ে তুলেছে। তবুও এই করোনার সময় মুশফিকের মাঠে যাওয়া কেন? মুশফিকের অগ্রজ মাশরাফির এক বাক্য থেকে সেটির পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। তামিমের লাইভ আড্ডায় এ ব্যাপারে মাশরাফি মজাচ্ছ্বলেই বলছিলেন, ‘মাঠ এবং অনুশীলন ছাড়া তো মুশফিক তো বেশিদিন থাকতে পারবে না। দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে।
Discussion about this post