পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে হেরে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর এই ম্যাচেও ব্যর্থতা দিয়ে শুরু হলো টাইগারদের নতুন মিশন।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা যদিও প্রত্যাশামতো হয়নি, তবে মধ্য ও শেষ ওভারে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। শুরুতেই সাইম আয়ুব ও ফখর জামান দ্রুত বিদায় নেন। তবে সালমান আলি আগা (৫৬), শাদাব খান (৪৮), ও মোহাম্মদ নাওয়াজ (৪৪) দলকে এনে দেন চাঙা ভিত। ২০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০১ রান ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট, মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটামুটি হলেও, ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ১২তম ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান থেকে শেষ ৮ উইকেটে মাত্র ৬৪ রান যোগ করতে সক্ষম হয় দলটি। ওপেনার তানজিদ হাসান করেন ৩১ রান, লিটন দাস সর্বোচ্চ ৪৮ রান করলেও অন্য কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রিশাদ হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও (৩৬ রান) দলের পরাজয় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন হাসান আলি, যিনি এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই তুলে নেন ৫ উইকেট—টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৩.২ ওভারে ৩০ রানে ৫ উইকেট)। তিনি ফিরিয়ে দেন তানজিদ, পারভেজ, জাকের, তানজিম এবং শরিফুলকে। ম্যাচের শেষ উইকেটটিও আসে তার হাত ধরেই।
এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। নতুন কোচ মাইক হেসনের অধীনে এটি পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ এবং জয় দিয়েই শুরু হলো তার মিশন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফাখার ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, আশরাফ ১১*, হাসান ১*; মেহেদি ৪-০-৩৬-১, শরিফুল ৩-০-৩২-২, হাসান ৩-০-২৪-১, তানজিম ২-০-২২-১, রিশাদ ৪-০-৫৫-১, শামীম ৪-০-৩১-০)
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪ (তানজিদ ৩১, পারভেজ ৪, লিটন ৪৮, হৃদয় ১৭, জাকের ১৩, শামীম ৪, রিশাদ ৩৬, তানজিম ১, মেহেদি ২, হাসান ৯*, শরিফুল ৫; আশরাফ ৩-০-১৮-১, হাসান ৩.২-০-৩০-৫, আবরার ৪-০-৩৫-০, রউফ ৩-০-৩৬-০, শাদাব ৪-০-২৭-২, খুশদিল ১-০-৬-১, সালমান ১-০-১২-১)
ফল: পাকিস্তান জয়ী ৩৭ রানে
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে
Discussion about this post