ক্যারিয়ারটা কখনোই ফুলে ফুলে সাজানো ছিল না তার। ইনজুরি বারবারই প্রতিরোধের দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দমে যাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। সব শঙ্কা পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন দাপটে। সেই পথ চলাতেই এবার অনন্য এক দিনের অপেক্ষায় এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে হাবিবুল বাশার ও সাকিব আল হাসান অধিনায়ক হিসেবে খেলেন কমপক্ষে ৫০টি ম্যাচ।
অধিনায়ক মাশরাফির পথচলা শুরু হয় ২০০৯ সালে। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টেই ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তারপর মাঠের বাইরে ছিলেন বেশ কিছুদিন। টেস্টে অধিনায়ক মাশরাফির সেটাই প্রথম ও একমাত্র টেস্ট। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির অভিষেক ২০১০ সালে। তারপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিস্টলে ঐতিহাসিক জয়ে তার বীরত্ব শুরু। ম্যাশের অধিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পা রাখে নতুন এক দিগন্তে। হয়ে উঠে আলোচিত এক দল।
মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলা ৪৯টি ওয়ানডের ২৭টিতে জিতে বাংলাদেশ। হেরেছে ২০টিতে। জয়ের হার ৫৭.৪৪! বাংলাদেশি অধিনায়কের হয়ে রেকর্ড গড়া সাফল্য। এবার অবশ্য এই পেসার ভিন্ন এক সময়ে এসে অধিনায়কত্বের ৫০তম ম্রাচটা খেলবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার দল রয়েছে মহা চাপে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে গেছে। রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। হারলেই হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা। ঠিক এমন ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মাশরাফি।
এমন একটা ম্যাচ স্মরনীয় করে রাখতে নিশ্চয়ই চেস্টার ত্রুটি থাকবে না। আর সেই পথ ধরে জিতলেই কেবল ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা থেকে বাঁচবে দল।
Discussion about this post