বিশ্বসেরা হয়েই খেলতে গিয়েছিল যুবারা। লক্ষ্য ছিল শিরোপা ধরে রাখা। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে হতাশাই সঙ্গী হলো। ভারতের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ। শেষ অব্দি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে হতাশা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে জুনিয়র টাইগারদের।
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল।সোমবার পঞ্চম স্থান প্লে অফ সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে দল হারে ৬ উইকেটে।
জুনিয়র টাইগারদের ১৭৬ রানের লক্ষ্য ২১ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তান। অবশ্য টপ অর্ডারের ব্যর্থতাতেই এমন বাজে অবস্থা। দলকে অনেকটা একাই টেনে নেন আরিফুল ইসলাম। পাঁচ নম্বরে নেমে ১১৯ বলে করেন ১০০ রান। দল হারলেও ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনিই ম্যাচসেরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ইফতেখার হোসেন।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন আরিফুল। এবারের বিশ্বকাপে এটাই বড় প্রপ্তি। আগেরবার বিশ্বকাপ নিয়েই দেশে ফিরেছিলেন আকবর আলির দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৯.২ ওভারে ১৭৫/১০ (মাহফিজুল ৬, ইফতেখার ২৫, নাবিল ১, আইচ ৪, আরিফুল ১০০, ফাহিম ৫, মেহরব ১৪, নাইমুর ২, রকিবুল ০, রিপন ৭*, তানজিম ০; জিশান ৯.২-১-২৭-১, কাসিম ১০-১-৩১-০, আওয়াইস ১০-০-৫২-২, আহমেদ ৪-১-১৯-১, মেহরান ১০-২-১৬-৩, আব্বাস ৪-০-১৩-০, সাদাকাত ২-০-১৫-০)
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৬.৩ ওভারে ১৭৬/৪ (শেহজাদ ৩৬, হাসিবউল্লাহ ৭৯, ইরফান ২৪, ফাসিহ ২২*, কাইস ১, আব্বাস ৫*; তানজিম ৫.৩-০-২৭-০, রিপন ৭-০-৩৯-০, মেহরব ৭-০-৩৯-০, নাইমুর ১০-০-৩৩-১, আইচ ৬-০-১৬-০, রকিবুল ১০-১-২৮-২, আরিফুল ১-০-৮-০)
ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেট জয়ী
ম্যাচসেরা: আরিফুল ইসলাম
Discussion about this post