শুরুটা হয়েছিল রাজকীয়, কিন্তু শেষটা হলো হতাশার। রংপুর রাইডার্সের গ্লোবাল সুপার লিগ-২০২৫ অভিযান থেমে গেল ফাইনালে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের কাছে ৩২ রানের পরাজয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতা, কৌশলগত ভুল এবং চাপের মুহূর্তে সিদ্ধান্তহীনতায় টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলটিকে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো।
প্রথম রাউন্ডে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠা রংপুরের ব্যাটিং দুর্বলতা ধরা পড়েছিল আগেই — ৭৯ রানে অলআউট হওয়ার ম্যাচে। সেই অস্বস্তি নিয়েই ফাইনালে মাঠে নামে দলটি। আর স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স যেন জানত ঠিক কোথায় আঘাত করতে হবে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা গায়ানার ওপেনার চার্লস ও গুরবাজ শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছেন। চার্লসের ৬৭ এবং গুরবাজের ৫১ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে গায়ানা তোলে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। শেষ দিকে রাদারফোর্ড-শেফার্ড জুটির ঝড়ো ক্যামিও রংপুরের জন্য কাজটা করে তোলে আরও কঠিন।
১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রানআউটে কাটা পড়েন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার ও কাইল মেয়ার্স। পাওয়ার প্লেতে রান তুলতে না পারা এবং উইকেট হারানোর কারণে ম্যাচ হাতছাড়া হতে শুরু করে তখনই।
সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদের ৭৩ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও রানআউট ও এলবিডব্লিউ হয়ে দুজনই ফিরে গেলে চাপটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এরপর প্রিটোরিয়াসের আগুন ঝরানো স্পেলে রংপুর হারায় পরপর কয়েকটি উইকেট।
শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সাহসী ৩০ রানের ইনিংস রংপুরকে লড়াইয়ে রাখলেও তা ম্যাচ জেতানোর মতো ছিল না। ইনিংসের শেষ বলে কামরুল আউট হলে থেমে যায় রংপুরের ইনিংস — ১৬৪ রানে।
রংপুর যেখানে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল, গায়ানা সেখানে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ল।
Discussion about this post