পেস বোলিংই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ঐতিহ্যের মূলভিত্তি-সেই ছাঁচ ভেঙে দিয়ে এ বছর বর্ষসেরা হলেন দুই স্পিনার। ছেলেদের ক্রিকেটে বাঁহাতি স্পিনার কেশাভ মহারাজ, আর মেয়েদের বিভাগে বাঁহাতি স্পিনার ননকুলুলেকো লাবা জিতেছেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ‘ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা অ্যাওয়ার্ডস’ ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিবেচনায় ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সাফল্য। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ছিল বিবেচনার বাইরে।
কেশাভ মহারাজ বছরের সাতটি টেস্টে শিকার করেন ৪০ উইকেট। তার ধারাবাহিক স্পিনের দাপট টেস্টেই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নজর কাড়ে। ১১ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পৌঁছে দেন ফাইনালে, যেখানে তার ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৬.২৫।
নারী ক্রিকেটে লাবার উত্থান আরও রোমাঞ্চকর। তিনি ১২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এছাড়া গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে তিনি নাম লেখান ইতিহাসে-দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কীর্তি আর কেউ গড়েননি।
অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরির সুবাদে। অন্যদিকে, ওয়ানডেতে বর্ষসেরা হয়েছেন সদ্য অবসরে যাওয়া হাইনরিখ ক্লাসেন। টি-টোয়েন্টি বিভাগে ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছেন আনরিখ নরকিয়া।
বর্ষসেরা নবাগত হয়েছেন তরুণ পেসার ওটনিল বার্টম্যান। ঘরোয়া পর্যায়ে আলো ছড়িয়েছেন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস (প্রথম শ্রেণি), কোয়েনা মাফাকা (টি-টোয়েন্টি), ও সতীর্থদের ভোটে সেরা হয়েছেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস।
সাবেক বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো হয়েছেন ডিভিশন ওয়ানের সেরা কোচ। তার কোচিংয়ে লায়ন্স দল জিতেছে চার দিনের ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি ট্রফি। ডিভিশন টু-তে সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন হাশিম আমলার ভাই আহমেদ আমলা।
নারীদের বিভাগেও লাবার আধিপত্য একচ্ছত্র। বর্ষসেরার সঙ্গে তিনি জিতেছেন ক্রিকেটারদের ভোটেও সেরা খেতাব। ওয়ানডেতে সেরা হয়েছেন অলরাউন্ডার অ্যানেরি ডার্কসেন, আর নবাগত বিভাগে সেরা পেসার আয়ান্দা লুবি।
Discussion about this post