ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঘরের মাঠে সব সময়ই স্পিন নির্ভর দল নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আসন্ন টেস্ট সিরিজের তার ব্যতিক্রম হবে না। সেটাই ধারণা করছেন ভক্তরা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৫ জন পেস বোলার ও ৩ জন স্পিনারকে। স্কোয়াডে পেস বোলারদের আধিক্যের কারণ তাদের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
স্পিন নির্ভর একাদশের সম্ভাবনা জোরালো হওয়ার পরেও একাদশে রাখা হয়েছে পাঁচজন বোলারকে। টেস্ট স্কোয়াডও হয়েছে বেশ বড়, ১৮ জনের। যারা খেলার সুযোগ পাবেন না তারা যেন পরবর্তী জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন সেই তাগিদও থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে নান্নু বলেন, ‘কোভিড-১৯ আর কে কখন অসুস্থ হয় এটা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করেছি। যাদেরকে নিয়েছি টেস্ট ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখেই দল সাজিয়েছি, যারা খেলবে না তারাও যেন একটা সিস্টেমের ভেতরে থাকে। তারা যেন টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করে উন্নতি করতে পারে এবং পরবর্তীতে খেলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।’
বাংলাদেশের একাদশ স্পিন নির্ভর নাকি পেস ও স্পিনের ভারসাম্য রেখে করা হবে তা এখনই বলতে রাজি হননি নান্নু, ‘২৪ ঘণ্টা আগে টিম ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি করবে তাই এখনই বলা মুশকিল। কয়জন স্পিনার, কয়জন পেসার নিয়ে খেলা হবে সেটা তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের পেসার, স্পিনার সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। স্কোয়াড কেবল একটা ম্যাচের কথা চিন্তা করে করা হয় না, সামনের দিনের কথা ভেবে। বিদেশ সফরে গেলে তো পেসার বেশি নিয়ে খেলতে হবে। ঘরের মাঠে স্পিনারদের একটু বেশি প্রাধান্য দিই আমরা। দলের সবকিছু যেন ঠিক থাকে এইজন্যই ভারসাম্যটা রাখা।’
একাদশে ৫ জন পেসার রাখার ব্যাপারে নান্নু স্পষ্ট করে বলেন পেসারদের তুলনামূলক বেশি চোটের আশঙ্কা ও ফিটনেসে ঘাটতি চলে আসার কথা ভেবেই হাতে বেশি অপশন রাখা হয়েছে, ‘এখানে ৫ জন পেসার রেখেছি কারণ অনেক দিন পরে আমরা ৫ দিনের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। যেকোনো সময় যেকোনো বোলারের আহত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। ওদের ফিটনেস ৫ দিন খেলার পরে একই অবস্থানে থাকে না। আর ওরা পুরো একবছর টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে। সেই হিসেবে ওদের এই ফিটনেসের কথা চিন্তা করেও বেশি ফাস্ট বোলার নিয়েছি। সবার ফিটনেস এখন ভালো অবস্থানে আছে এবং আশা করছি দুইটা টেস্ট ম্যাচেই ভালো অবস্থানে পাবো।’
Discussion about this post