এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বৃহস্পতিবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশেষভাবে কথা বলেছেন দলে ফেরা নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসানকে নিয়ে।
দীর্ঘ বিরতির পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন এই দুই ক্রিকেটার। লিটন বলেন, ’আমি খুবই খুশি দলে সোহান ভাই ও সাইফকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমন নয় যে যারা এখন দলে নেই তারা খারাপ খেলোয়াড়। তারাও বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছে এবং ভবিষ্যতে আবারও ফিরতে পারবে। সোহান তো অনেকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে।’
সাইফের বহুমুখী সামর্থ্যের দিকেও ইঙ্গিত দেন লিটন, ‘সাইফ বিপিএল, গ্লোবাল সুপার লিগ আর অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলেছে। আমাদের একজন দরকার ছিল মাঝের ওভারে আগ্রাসী খেলার মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করতে পারে এবং প্রয়োজনে কিছু ওভার বলও করতে পারে। সেই কারণেই তাকে নেওয়া হয়েছে। আশা করি বাইরে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, এখানে তা প্রয়োগ করতে পারবে।’
এই দুই ক্রিকেটারকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি চাইব তারা যেন বাংলাদেশের জন্য সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে। দুই-এক ম্যাচের পরেই বাদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই। টি-টোয়েন্টিতে আউট হওয়া স্বাভাবিক, তবে খেলোয়াড় যদি দলের জন্য সবকিছু দিতে চায় তাহলে ম্যানেজমেন্ট অবশ্যই তাকে ব্যাক করবে।’
নেদারল্যান্ডস সিরিজকে তিনি দেখছেন এশিয়া কাপে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। তবে খর্ব শক্তির দল বলেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না লিটন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট দল বলে কিছু নেই। আমরা সবসময় জেতার জন্য নামি। হেরে গেলে সেটা নতুন কিছু নয়, কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি।’
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে সিলেটের উইকেটকে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি আখ্যা দিয়ে লিটন আরও বলেন, ‘আবুধাবি যেমন ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট, সিলেটও অনেকটা তেমন। আমরা যদি ২০০-২৫০ রান করতে পারি খুব ভালো, না পারলেও ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করব ওই জায়গায় পৌঁছানোর।’
আগামী ৩০ আগস্ট সিলেটে শুরু হবে বাংলাদেশ–নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। এরপরই এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে নামবেন লিটন দাসের দল।
Discussion about this post