শেষ ৩ ওভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান; হাতে মাত্র ২ উইকেট। লক্ষ্যটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। এ অবস্থায় শেষ ওভারে এসে জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের চাই ১৫ রান। ক্রিজে তখন শেষ দুই ব্যাটসম্যান—জেসন হোল্ডার ও কেমার রোচ।
এমন একটা সময়ে অধিনায়ক মিসবাহ উল হক বল তুলে দেন ওয়াহাব রিয়াজের হাতে। মনে হচ্ছিল ম্যাটা বুঝি পাকিস্তানই জিতবে। প্রথম ২ বলে আসে ২ রান। কিন্তু তৃতীয় বলটিতেই হোল্ডার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দৃশ্যপট পাল্টে দেন। এরপরের বলই ডট। মানে শেষ ২ বলে দরকার তখন ৯ রান।
ম্যাচটা ঝুকে ছিল পাকিস্তানের দিকেই। ঠিক তখনই হোল্ডার বল হাওয়ায় ভাসান, ছক্কা! শেষ বলে চাই ৩ রান। চরম নাটকীয়তা। এবার ২ রান পেয়ে যান হোল্ডার। ম্যাচ টাই। কিন্তু এটা তো ক্যারিবীয়দের জন্য জয়। ম্যাচটা যে হারতেই বসেছিল তারা।
সেন্ট লুসিয়ায় অনুষ্ঠিত ৩য় ওয়ানডেতে টস হারা পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ২২৯ রান। পাকিস্তানকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলেন ওই মিসবাহ মোহাম্মদ হাফিজ ও অভিষিক্ত হারিস সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে। হাফিজের সঙ্গে ৫৩ ও সোহেলের সঙ্গে ৬০ রানের জুটিতে মিসবাহর অবদানই ছিল বেশি। হাফিজ ১৪ ও সোহেল ২৬ রান করেন। মিসবাহর ৭৫ রানের পাশাপাশি উমর আকমলের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।
২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল বাজে। তারপর লেন্ডল সিমন্সের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৫ রান। মারলন স্যামুয়েলস করেন ৪৬ রান। কিন্তু নীচের দিকের ব্যাটসম্যানরাই রক্ষা করেছে তাদের।
৫ ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২২৯/৬ (মিসবাহ ৭৫, উমর আকমল ৪০; হোল্ডার ২/৪০, ডোয়াইন ব্রাভো ২/৫০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২২৯/৯ (সিমন্স ৭৫, স্যামুয়েলস ৪০, হোল্ডার ১৯*;
জুনাইদ খান ৩/৫৪, মোহাম্মদ ইরফান ২/৩৪, সাঈদ আজমল ৩/৩৬)
ফল: ম্যাচ টাই
ম্যাচসেরা: মিসবাহ-উল হক ও জেসন হোল্ডার
Discussion about this post