ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তাকে নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল ক্রিকেটাঙ্গন। পাকিস্তান সফর থেকে মুশফিকুর রহীম নিজেকে সরিয়ে নিতেই চলে সমালোচনা। খোদ নির্বাচকরা এনিয়ে কথা বলেন। এমন কী জানানো ফের যোগ্যতা প্রমাণ করেই ফিরতে হবে জাতীয় দলে। বিসিবির বিভিন্ন কর্মকর্তা আর কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মন্তব্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও লাগসই জবাবটা দিলেন মুশফিক।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে এই মহাতারকার ফেরা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় নেই। শুক্রবার কক্সবাজারে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন-তাকে দলে রাখতেই হবে। তিনি প্রস্তুত।
ছুটির দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ২৭২ রানে অলআউট হয় বিসিবি উত্তরাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে মুশফিক খেলেন ১৪০ রানের ইনিংস। চারদিনের ম্যাচে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেন মুশফিক। সেঞ্চুরি করেন ১১৬ বলে। ৯৯ রান থেকে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন।
অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের অফ স্পিনার নাঈম হাসানও ম্যাজিক দেখালেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে সনাজেহাল করেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। শেষ অব্দি মুশি একাই লড়েন। আর ১৬ চার, ১ ছক্কায় ৮৯.১৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৫৭ বলে ১৪০ রান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে। উত্তরাঞ্চলের অধিনায়ক তুলেন ৩১ রান। পূর্বাঞ্চলের ১৯ বছর বয়সী অফ স্পিনার নাঈম ১০৭ রানে নেন ৮ উইকেট।
কক্সবাজারে বিসিএলের আরেক লড়াইয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে অলআউট হয় ২৩৫ রানে। সেঞ্চুরি করেন মার্শাল আইয়ুব। দক্ষিণাঞ্চলের অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের শিকার হওয়ার আগে মার্শাল করেছেন ১১৩ রান। মেহেদী শিকার করেন ৩ উইকেট।
Discussion about this post