ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
স্বপ্নের মতো এক ফাইনাল। লো-স্কোরিং ম্যাচে উত্তেজনা থাকল কানায় কানায়। লর্ডসের ময়দানে ম্যাচটা মনে হচ্ছিল জিততে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। আবার এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড! রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। কী আশ্চর্য্য শেষ অব্দি নির্ধারিত ওভারে দুই দলই তুলল ২৪১ রান।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল গড়াল সুপার ওভারে! যেখানে রোববার উড়ল ইংলিশদের বিজয় নিশান। তবে সুপার ওভারেও থাকল রোমাঞ্চ। এখানেও রান সমান। ইংল্যান্ড ৬ বলে তুলল ১৫। এরপর নিউজিল্যান্ডও ১৫। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী শেষ দুই দলকে আলাদা করল বাউন্ডারি সংখ্যা। যেখানে নাটকীয়তার চূড়ান্ত রূপটা দেখল ক্রিকেট ভক্তরা।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ইংল্যান্ড। যদিও স্কোরে লেখা থাকবে টাই!
লর্ডসে রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড তুলে ৫০ ওভারে ২৪১ রান। এরপর শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঠিক ২৪১ রানেই অল আউট স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ফাইনাল গড়ায় তাই সুপার ওভারে।
এই রোমাঞ্চে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে নামেন জস বাটলার ও বেন স্টোকস। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে তারা করেন
১৫ রান। এপরপর জোফরা আর্চারের ওভারে মার্টিন গাপটিল আর জিমি নিশামও তুলেন ১৫ রান। এখানেও সমান। কিন্তু শেষে বেশি বাউন্ডারি মারায় চ্যাম্পিয়ন ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড!
সুপার ওভারসহ ইংলিশদের চার ও ছক্কা ছিল ২৬টি আর নিউজিল্যান্ডের ১৭টি। দ্বাদশ বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ ছড়ানো ইতি!
ইংলিশদের জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। শেষ ওভারে তার একটি ছক্কা ও তার ডাইভে ভাগ্যের ছোঁয়ায় পাওয়া ৬ রানেই টাই হয় হয় ম্যাচ। আর স্টোকস অপরাজিত থাকেন তিনি ৮৪ রানে। এরপর সুপার ওভারেও দলের ১৫ রানের ৮ রান করেন স্টোকস। ফাইনালের সেরা তিনিই।
গতবারের মতো এবারও হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ল নিউজিল্যান্ড। আগেরবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরেছিল কিউইরা। এবার তাদের হারাল ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের জনকরা প্রথমবারের মতো পেল বিশ্বকাপ!
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের সেরা হলেন কেন উইলিয়ামসন। যদিও মুখে হাসি ছিল না কিউই ক্যাপ্টেনের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেলর ১৫, ল্যাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৯-০-৩৭-৩, আর্চার ১০-০-৪২-১, প্লাঙ্কেট ১০-০-৪২-৩, উড ১০-১-৪৯-১, রশিদ ৮-০-৩৯-০, স্টোকস ৩-০-২০-০)।
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১ (রয় ১৭, বেয়ারস্টো ৩৬, রুট ৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ৮৪*, বাটলার ৫৯, ওকস ২, প্লাঙ্কেট , আর্চার ০, রশিদ ০, উড ০; বোল্ট ১০-০-৬৭-০, হেনরি ১০-২-৪০-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ১০-২-২৫-১, ফার্গুসন ১০-০-৫০-৩, নিশাম ৭-০-৪৩-৩, স্যান্টনার ৩-০-১১-০)।
ফল: ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই; বাউন্ডারিতে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
ম্যাচসেরা: বেন স্টোকস
টুর্নামেন্টসেরা: কেন উইলিয়ামসন
Discussion about this post