দেরি হয়ে গেছে। ঘড়ি কাঁটায় সময়ের চেয়ে অন্@ত তিন মাস পিছিয়ে আছে সিলেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ। তাই কোনোরকম ভনিতা না করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও মানলেন-‘দেরি তো অবশ্যই হয়ে গেছে। তবে আমি আশাবাদী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে। সিলেটে বিশ্বকাপ আয়োজন আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে জয়ী অবশ্যই হতে হবে। যথা সময়েই কাজ সম্পন্ন করে আইসিসির কাছে মাঠ হস@ান্@র করা হবে এবং সিলেটেই হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।’
ভেন্যু প্রস্তুত করতে না পারলে আইসিসি সামনের বছরের বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেবে-এমন একটা আশঙ্কার খবরও শোনা গিয়েছে। তবে নাজমুল হাসান সেই আশঙ্কাকে গনায় ধরছেন না-‘আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সীমানার বাইরে যাবে না। বাংলাদেশেই হবে-এটা নিশ্চিত। সিলেট ও কক্সবাজার স্টেডিয়াম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ স্টেডিয়ামগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী।’
সামনের বছরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের যে দুটি ভেন্যু নিয়ে আইসিসি তাদের অসন্@োষ জানিয়েছে তার মধ্যে সিলেট একটি। দ্বিতীয়টি কক্সবাজার। বিশ্বকাপের আগে এ দুটি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হবে কি না-তা নিয়ে সন্দেহ জানিয়েছে আইসিসির পর্যবেক্ষক দল। আর তাই আইসিসি এ দুটি ভেন্যুর পাশে ‘লাল দাগ’ দিয়েছে। তবে এ দাগ মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইসিসির এজিএমে এ দুটি ভেন্যু সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্টের কথা উঠতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আশ্বস@ করেন-‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এ স্টেডিয়ামগুলোর প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হবে।’
আইসিসির কাছে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে নিজেই এখন স্টেডিয়াম নির্মাণের তদারকিতে নেমেছেন বিসিবি সভাপতি। অর্থমন্¿ী আবুল মাল আল মুহিত ও ক্রীড়া প্রতিমন্¿ী আলী আহাদ সরকারকে নিয়ে কাল সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণকাজ দেখেও এলেন। তদারকির সময়ে স্থানীয় প্রকৌশলীদের দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করার তাগিদও দেন তিনি। প্রায় ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। প্রতিদিন ৪০০ শ্রমিক স্টেডিয়ামে কাজ করছে। আইসিসির পরিদর্শক দল আগামী ৭ আগস্ট এ স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসছে। এ স্টেডিয়াম যে সামনের বছরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত-সেই পরীক্ষায় এবার উত্তীর্ণ হতে চান বিসিবি সভাপতি।
এমন নয় যে প্রায় হঠাত্ করেই সিলেট স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের ভেন্যু হয়েছে। এখানে বিশ্বকাপ হওয়ার সিদ্ধান্@টা অনেক পুরনো। বিসিবির সাবেক সভাপতি মোস@ফা কামালের সময় এ সিদ্ধান্@ নেওয়া হয়। কিন্তু শুধু সিদ্ধান্@ নিয়েই সার। স্টেডিয়ামকে আন্@র্জাতিকমানের করার জন্য যে প্রস্তুতি ও যে টাকা ছাড়ের প্রয়োজন-সেটা সময়মতো করতে না পারার কারণে আজ বিশ্বকাপ আয়োজন হারানোর ঝুঁকিতে সিলেট। এ প্রসঙ্গে নিজের গোস্বা চেপে রাখলেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন-‘টাকা প্রাপ্তির প্রয়োজন ছিল আরও চার মাস আগে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে টাকা দেরিতে পাওয়ায় কাজও বিলম্বে শুরু হয়েছে। তবে আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। এ স্টেডিয়ামে কাজের গতি আমাকে আশ্বস@ করেছে। আশা করি আগস্টের ৭ তারিখে আসা আইসিসির প্রতিনিধি দলের কাছে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম হস@ান্@র করা সম্ভব। আর আগে গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের দোতলার কাজ শেষ হবে। আরও দোতলা বাকি থাকবে। তখন আইসিসিকে বোঝাতে হবে বাকি সময়ের মধ্যে এর কাজ শেষ করা হবে।’
Discussion about this post