এক ম্যাচ বিরতি। ফের সেই সাফল্যের হাওয়ায় উড়ল বাংলাদেশ। শুরুতে বোলারদের দাপট। এরপর ব্যাটসম্যানরা জয়ের বন্দরে পা রাখলেন। বাংলাদেশ গড়ল ইতিহাস। নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারাল টাইগাররা।
বুধবার সিরিজের চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে টসে জিতে কিউইরা। তবে তাদের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯ ওভার ৩ বলে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে নেমে ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও জিতে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের জয়ে ৩-১ এ সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা। শুক্রবার সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ম্যাচে ব্যাট হাতে পথ দেখান ওপেনার নাঈম শেখ। মিরপুরের কঠিন উইকেটে লড়েছেন অধিনায়ব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাদের ব্যাটেই জয়টা হয়েছে অনায়াস। এর মধ্যে লিটন দাস ৬, সাকিব আল হাসান ৮ রানে আউট। মুশফিকুর রহিম ৩ বল খেলে কোন রান না করেই ধরেন সাজঘরের পথ। অপ্রয়োজনীয় শট খেলে এ ওভারে ফিরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব-মুশফিক।
বেশ লড়ছিলেন নাঈম শেখ। এই ওপেনার ৩৫ বলে ২৯ করে রানআউট হয়ে ফিরেন। আর রিয়াদ খেলেন ঠিক অধিনায়কের মতো। ৪৩ রান করে ছিলেন অপরাজিত।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বোলাররা ধরে রাখলেন দাপট। শুরুতেই স্পিনে ম্যাজিক দেখান নাসুম আহমেদ। এরপর মুস্তাফিজুর রহমান পেসে ঝড় তুলেন। বুধবার মিরপুরের শেরেবাংলায় টস ভাগ্য অবশ্য ছিল কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামের। তিনি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তা যৌক্তিক করতে পারেন নি তার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৯৩ রানে অলআউট সফরকারীরা।
স্পিনার নাসুম ও পেসার মুস্তাফিজ দুজনই শিকার করেন ৪টি করে উইকেট। ১৯ ওভার ৩ বলে ৯৩ রানে অলআউট সফরকারীরা।
ইনিয়সে পরপর দুই বলে হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে দেন নাসুম। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৪ উইকেট পেলেন তিনি। এ ম্যাচে ১০ রানে ৪ উইকেট টি-টুয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং। গত মাসে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯ রানে নেন চারটি।
উইল ইয়াং একা লড়লেন। তিনি ৪৮ বলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে করেন ৪৬ রান। মুস্তাফিজ ৪ উইকেট পান ১২ রানে।
এরপর ব্যাটসম্যানরা সেই পুঁজি টপকে গেলেন। গড়লেন ইতিহাস। এর আগে কখনোই কিউইদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে সিরিজ জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার সেই আনন্দে ভাসল দল। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়িয়ে নিল দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ৯৩/১০ (রবীন্দ্র ০, অ্যালেন ১২, ল্যাথাম ২১, ইয়াং ৪৬, নিকোলস ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ০, ব্লান্ডেল ৪, ম্যাকনকি ০, এজাজ ৪, টিকনার ২, বেনেট ০*; নাসুম ৪-২-১০-৪, সাকিব ৪-০-২৫-০, মেহেদি ৪-০-২১-১, মুস্তাফিজ ৩.৩-০-১২-৪, সাইফ ৩-০-১৬-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০)।
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ৯৬/৪ (নাঈম ২৯, লিটন ৬, সাকিব ৮, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৪৩*, আফিফ ৬*; বেনেট ৩-০-১৭-০, এজাজ ৪-০-৯-২, ম্যাকনকি ৩.১-০-৩৪-১, রবীন্দ্র ৪-০-৮-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩-০-১৩-০, টিকনার ২-০-১৩-০)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: নাসুম আহমেদ।
Discussion about this post