সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসা দর্শকরা ম্যাচ শুরুর প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই বুঝে ফেলেছিল, আজকের দিনটা বাংলাদেশের। লিটন দাস টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর থেকেই যেন চারপাশে ভেসে আসছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। আর সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাসুম, তাসকিন, মুস্তাফিজরা। ফলাফলনেদারল্যান্ডস গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০৩ রানে।
আজ ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই আসে ধাক্কা। ম্যাক্স ও’দোদকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। পরের বলেই বিদায় নিতে হয় তেজা নিদামানুরুকে। টানা দুই বলে উইকেট, সিলেটের গ্যালারিতে তখন বাঁশি-ঢোল আর করতালিতে জমজমাট পরিবেশ। হ্যাটট্রিক না হলেও শুরুতেই ম্যাচের রাশ টেনে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
এক প্রান্তে নাসুম যেমন আঘাত হানছিলেন, অন্য প্রান্তে গতি আর সুইংয়ে ডাচদের দিশেহারা করে তুলেছিলেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। বিক্রমজিত সিং কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও ২৪ রানের বেশি এগোতে পারেননি। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
দলের পক্ষে লড়াইটা একাই করেছেন আরিয়ান দত্ত। নয়ে নেমে খেলেছেন ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে নেদারল্যান্ডস। শেষ উইকেটে ড্যানিয়েল ডোরামের সঙ্গে ২২ রানের জুটি ছিল সেই লড়াইয়ের প্রমাণ। তবে শেষ পর্যন্ত শেখ মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। তাতেই শেষ হয়ে যায় ডাচদের ইনিংস ১৭.৩ ওভারে ১০৩ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ শিকার করেছেন ২টি করে। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও শেখ মেহেদী হাসান নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ কখনো হেরেছে এমন নজির নেই!
Discussion about this post