ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
লম্বা সময় পর গতকাল ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেই দাপট দেখায় বাংলাদেশ। ব্যাট-বল হাতে ঝড় তুলে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নেয় রেকর্ড ১৬৯ রানে। স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিক শিবিরে বইয়ে স্বস্তির বাতাস। তাইতো মঙ্গলবারই এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইছে মাশরাফি বিন মুর্তাজার দল। এজন্য লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা তৈরিও।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে জিটিভিতে।
একদিন পর ম্যাচ। তাই বিশ্রামের সুযোগ নেই বাংলাদেশের। যে কারণে সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেন তামিম ইকবালরা। ব্যাটিং কোচের অধীনে টাইগার ওপেনার অনেকটা সময়ই ব্যাটিং অনুশীলন করেন। এদিকে দলের অন্যরাও নিজেদের ঝালিয়ে নেন।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী তা রোববার সিরিজের প্রথম ওয়ানেডেতে সফরকারীদের ১৬৯ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে দেখিয়েছেন। মঙ্গলবারও সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান স্বাগতিকরা। এজন্য তৈরিও তারা। যদিও তারা জানেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিরতে আজ মরণ কাঁমড় দিতে তৈরি। তবে ব্যাপারটি নিয়ে স্বাগতিকরা খুব একটা চিন্তিত নন। এর পেছনের কারণ হল, লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের সবাই দারুণ ফর্মে রয়েছেন। যে যার জায়গা থেকে নিজের কাজটি ঠিকমতোই করছেন।
প্রথম ম্যাচ হেরে বেশ কোনঠাসা জিম্বাবুয়ে। তবে মঙ্গলবার নিজের স্বরুপে ফিরতে চান তারা। সোমবার সে আভাস দেন সিরিজের একমাত্র টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত কারণে না খেলা উইলিয়ামস, ‘১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ছেলেদের মানসিকভাবে শক্ত থাকা কঠিন। সবদিক থেকেই গতকালের পারফরমেন্স ছিলো হতাশাজনক। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কালকের জন্য পরিকল্পনা করা খুব জরুরি। আশা করি আমার উপস্থিতি দলে কিছুটা সাহস ও প্রশান্তি আনতে পারবে। ক্রেইগ আরভিনও দলে আছে। সেও খেলতে প্রস্তুত। আমি মনে করি, দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো সিদ্বান্ত নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজার মত খেলোয়াড়রা দলে বড় ভূমিকা পালন করে। তাদের জ্বলে উঠা, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৭৩টি। এরমধ্যে ৪৫টিতে জয় আর ২৮টিতে হেরেছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এ পরিসংখ্যান দেখে নিশ্চয়ই আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন মাশরাফিরা।
Discussion about this post