অবশেষে সিদ্ধান্ত থেকে সরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সংস্কার প্রস্তাব পরিকল্পনার বিরুদ্ধে লড়বে তারা।
বিসিবি গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির সভাপতি জালাল ইউনুস শনিবার জানান, আইসিসির আগামী সভায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবটি উপস্থাপন হলে বাংলাদেশ টেস্ট খেলার অধিকার ধরে রাখতে তার বিরোধিতা করবে। বলছিলেন, ’আইসিসি পুনর্গঠন নিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে না বিসিবি।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কম করে আগামী চার বছর টেস্ট খেলার সুযোগ থাকবে না বাংলাদেশের।
২৮-২৯ জানুয়ারি দুবাইতে আইসিসির সদর দফতরে যে সভা বসবে, তাতেই তোলা হবে নতুন সংস্কার প্রস্তাব। যাতে আইসিসির ক্ষমতা চলে যাবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের হাতে। আয়ের ভাগও তারা বেশি পাবে। থাকবে না আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি)। এসব সংস্কার প্রস্তাব তোলা হবে ভোটাভুটির জন্য। তাতে সংস্কারের পক্ষে ১০ পূর্ণ সদস্যের মধ্যে অন্তত সাত ভোট পেতে হবে। কিন্তু ইতোমধ্যেই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড তো ইতোমধ্যেই আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে এ ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। বাকিরা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও আইসিসির সভায় জোরালো প্রতিবাদ করবে বলেই আভাস দিয়েছে।
দুবাইয়ে ভারত তাদের তরফ থেকে যে ৪ প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে তা এ রকম-
১. ভারতকে আইসিসির আয় থেকে আরও বেশি ভাগ দিতে হবে।
২. আইসিসির প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করতে হবে। প্রেসিডেন্টের পদ হবে আলঙ্কারিক। সমস্ত ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের হাতে। আর সেই পদে প্রথম বসবেন শ্রীনিবাসন। পর্যায়ক্রমে সেই আসনে বসবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রার্থী।
৩. তিন বছর অন্তর অন্তর আইসিসির কোনো গ্লোবাল টুর্নামেন্ট ভারতকে দিতে হবে।
৪. ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে।
প্রস্তাবগুলোয় তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে তারা এ প্রস্তাব মানবে না। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অনমনীয়। তাদের হুমকি, প্রস্তাব না মানলে তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে। তিন দেশ পেলে গড়বে বিকল্প আইসিসি।
Discussion about this post