ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
একজন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুতেই প্রমাণ দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি এই ক্রিকেটার। তবে এ ওপেনার ২০০৭ সালে জেমি সিডন্সের হাত ধরে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে থাকেন। শুক্রবার তার সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন জাতীয় দলের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। নিজেদের আড্ডায় ক্যারিয়ারের সঙ্গে জড়িত নানান মজার স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন ততারা। আলোচনার এক ফাঁকে রুবেল বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটি? জবাবে বাংলাদেশের সাবেক কোচ সিডন্সের কথা বলেছেন তামিম।
শুক্রবার ফেসবুক লাইভে রুবেল তামিমকে প্রশ্ন করেন, ‘তামিম ভাই আপনার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? থাকে না, এমন ম্যাচ যেখানে আপনি খুব ভালো খেলার পর মনে হয়েছে, এ ম্যাচের পর মানুষ আপনাকে তামিম ইকবাল হিসেবে চিনেছে। মানে আপনি একজন ম্যাচ উইনার, বিগ হিটার। আপনার কাছে এমন ম্যাচ কোনটা?’
রুবেলের প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে, অলমোস্ট প্রথম ম্যাচগুলোর দিকে এই জিনিসটা হয়ে গেছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওই ইন্ডিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের সময় (যেখানে তামিম ভারতের ১৯২ রানের লক্ষ্যে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ঝড়ো ৫১ রান) এই জিনিসটা হয়ে গিয়েছিল। আমার স্টার্টিংটাই এরকম ছিল।’
তামিম নিজের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কিন্তু এটিকে মনে করতে চান না। বরং জানালেন, এরপরও দীর্ঘদিন তার ব্যাটে ছিল রানখরা। তামিমের ভাষায়, ‘ওই ম্যাচের পর বড় সময় ধরে আমি বলার মতো রান পাইনি, ভালো খেলিনি। হ্যাঁ, দলে জায়গা পাকা করার জন্য যতটা প্রয়োজন ততটা করেছি। তবে ওই রকম কোনও বড় পারফরম্যান্স করতে পারছিলাম না।’
নিজের ব্যাটিং উন্নতিতে তামিম অবদান দেখেন সাবেক কোচ সিডন্সের, ‘আমার মনে হয়, আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট যদি বলতে হয়— তবে তা হচ্ছে জেমি সিডন্স। সিডন্স যখন আসলো, যখন আমি ওর সঙ্গে কাজ করা শুরু করলাম। আমার ব্যাটিংয়ে যত সীমাবদ্ধতা ছিল ওগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্ট্রোক প্লে আমি আরও বাড়াতে পারলাম। আমি আমার দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করতে থাকলাম। তখন থেকে আমার মনে হয়, যতদিন সিডন্সের অধীনে ছিলাম, সেটাই ছিল আমার টার্নিং পয়েন্ট।’
Discussion about this post