চার দিনের ম্যাচ মানেই ধৈর্য, পরিকল্পনা আর দীর্ঘ প্রতিরোধের পরীক্ষা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে এমন এক পরীক্ষায় পাশ বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। যদিও কাঙ্ক্ষিত জয় ধরা দেয়নি, তবুও ম্যাচ শেষে মাঠ ছেড়েছে গর্ব নিয়েই।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দেখানো হয় সংহত পারফরম্যান্স। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩০৮ রান তুলে শুরুতেই প্রভাব বিস্তার করে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার জবাবে সংগ্রহ মাত্র ২৪৩ রান, ফলে লিড দাঁড়ায় ৬৫ রানে।
আজ চতুর্থ দিনে যখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার অপেক্ষায়, তখনই শুরু হয় নাটকীয়তা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে বিদায় নেন অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দিপু। ইনিংসের শুরুতেই স্কোরবোর্ডে ৮ রানে ৩ উইকেট-অবশ্যই স্নায়ুচাপে ফেলার মতো অবস্থা।
এরপর আরিফুল ইসলাম এবং আইচ মোল্লা ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও বেশিদূর টানতে পারেননি। উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে যখন পতনের ধারা চলছিল, তখন দৃঢ়তা দেখান প্রীতম কুমার ও মইন খান। ধীরস্থির এবং টেকসই ব্যাটিংয়ে তারা দলকে ধসের হাত থেকে রক্ষা করেন।
প্রীতম ৭৩ বল খেলে ২১ রান এবং মইন ৪৪ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই জুটি ছিল ম্যাচে বাংলাদেশের লড়াইয়ের প্রতীক। শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দুই দলের সম্মতিতে ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়।
যদিও জয় হাতছাড়া হয়েছে, তবে এই ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছে দল। কোচিং স্টাফের নজর থাকবে বিশেষ করে মিডল অর্ডার ও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার দিকে।
এই ড্র ম্যাচের পর এখন চোখ আগামী ২৭ মে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় এবং শেষ চার দিনের ম্যাচে, ভেন্যু মিরপুরের শেরেবাংলা।
Discussion about this post