চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ঠিক এক বছর আগে, গত বছরের ৫ নভেম্বরই তিনি এই পদে যোগ দিয়েছিলেন। তার অধীনে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি, বরং বেশ কিছু ব্যাটার ফর্মহীনতায় ভুগেছেন। এমন অবস্থায় আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সাবেক অধিনায়ক ও এক সময়ের তারকা ব্যাটার আশরাফুলের এই নিয়োগ ক্রিকেটপাড়ায় নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সালাউদ্দিনের পদত্যাগ এবং আশরাফুলের দায়িত্ব পাওয়া-দুটি ঘটনাই ঘটেছে প্রায় একই সময়, যা তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকের মনে। তবে আশরাফুল বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সালাউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখনও তিনি কোচিং করেছেন। তাই যেভাবে ভাবা হচ্ছে, তেমন কিছু নয়।’
দীর্ঘদিন পর নতুন ভূমিকায় জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আবেগাপ্লুত আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট ছাড়ার পর গত দুই বছর ধরে কোচিংয়ের পরিকল্পনা করছিলাম। আমি মাঠেই থাকতে চেয়েছি, সে অনুসারে কোচিংয়ে এসেছি। আবারও বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে ফিরতে পেরে খুব খুশি।’ তিনি আরও জানান, ১৩ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে বহু কোচের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই এখনকার ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চান।
ব্যাটিং নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন। তিনি মনে করেন, মানসিক দৃঢ়তা ব্যাটিং কৌশলের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমি কীভাবে সফল হয়েছি আর কেন ব্যর্থ হয়েছি, সেই অভিজ্ঞতাগুলো তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই,’ বলেন আশরাফুল। ‘এই খেলায় মানসিকভাবে শক্ত হওয়াই আসল বিষয়। যতোটা স্থির থাকা যায়, ততো সহজে ভালো ব্যাটিং করা সম্ভব।’
ব্যাটিং স্ট্যান্স বা কৌশল পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি সতর্ক। ‘চন্দরপল যেমন নিজের স্টাইলে হাজার হাজার রান করেছেন, ঠিক তেমনি আমাদের ব্যাটারদেরও নিজেদের ধরন বজায় রাখতে হবে,’ মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমি চাই তারা মানসিকভাবে দৃঢ় হোক, সেটিই তাদের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন আনবে।’









Discussion about this post