ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচের চাকরি যেন পদ্ম পাতার জল! কোন ভরসা নেই। একের পর এক কোচ বদল চলছেই। সর্বশেষ চাকরি হারালেন স্টিভেন রোডস। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হওয়ায় চাকরি হারান তিনি। একইসঙ্গে দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করতে না পারার কারণেও সমালোচিত হন ওই ইংলিশ কোচ। শেষ অব্দি চাকরিটাই গেল।
স্টিভ রোডসকে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একইসঙ্গে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশীকেও বিদায় বলতে পারে বোর্ড। ছাটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন।
অথচ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই সময়টাতে কোচ পাওয়া বেশ কঠিন। গতবারও কোচ খুঁজতে গিয়ে বেশ পেতে হয়েছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চাকরি ছাড়তেই হন্যে হয়ে কোচ খুঁজে বিসিবি। শেষ পর্ডন্ত জন্টি রোডস এনে দেন স্টিভেন রোডসকে। তারও চাকরি থাকল না!
সব মিলিয়ে সমালোচনার তোপে আছে বিসিবি। বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এনিয়ে টুইট করলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট যাদের হাত ধরে এগিয়েছে তাদের অন্যতম তিনি। সেই সাবের হোসেন চৌধুরী টুইটারে লিখেছেন, ‘গত আট বছরে ছয় হেড কোচকে বিদায় করেছে বিসিবি- সিডন্স, স্টুয়ার্ট ল, পাইবাস, জার্গেনসন, হাতুরেসিংহে, রোডস। কোচরা আসে-যায়, কিন্তু যারা তাদের পছন্দ করে নিয়োগ দেন, তারা থেকে যান। বোর্ড কেন জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে?’
সেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অব্দি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তার সময়কালীন ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ আর টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। ২০০২ সালে লন্ডনে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ পান সাবের।
এদিকে কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। রোডসের বিকল্প খোঁজার আগেই অবশ্য শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে হবে টাইগারদের। এ মাসের ২০ তারিখে কলম্বো যাওয়ার কথা ওয়ানডে দলের।
Discussion about this post