ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের দুঃসময়ে আরেক দুঃসংবাদ। চলে গেলেন সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলাল। অনেক দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যা কাবু করে ফেলেছিল তাকে। ওপেন হার্ট সার্জারির পর কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হচ্ছিল। এপর বৃহস্পতিবার ব্রেন স্ট্রোক হলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার, ৩০ মে সকালে ৬৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন হেলাল।
হেলাল মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
অনেক ধরেই ভুগছিলেন কিডনি সমস্যায়। এরমধ্যে ব্যাংককে চিকিৎসা নেন তিনি। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল ৬৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। গত বৃহস্পতিবার সকালেই তার ডায়ালাইসিস নিতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর ফিরে এলেন না তিনি।
ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলালের বাড়ি বরিশাল। সেই ১৯৭৫-১৯৮৮ পর্যন্ত খেলেন ঢাকা আবাহনীতে। নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।’ কিছুদিন বিজেএমসিতে খেললেও তিনি ছিলেন মূলত আবাহনীর।
জাতীয় দলের হয়ে শুরু ১৯৭৯ সালে। তার আগে এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলা শুরু ১৯৭৮ সালে। জাতীয় দলে ছিলেন ১৯৮৫ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে যে গন্ডগোল হয় তাতে ছিলেন তিনি। আবাহনীর চার ফুটবলারকে জেলে নেওয়া হয়, যেখানে ছিলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। বাকি তিনজন ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার।
অবসরের পর আবাহনীর পরিচালক, ম্যানেজার পদেও দেখা যায় তাকে।
Discussion about this post