বিশ্বকাপ মিশনে গিয়ে নতুন স্বপ্ন উড়ালেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। হেড কোচ এখন বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানরা মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। সেই লড়াইয়ের আগে ধর্মশালায় হাথুরু মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে কাদের ভাবছেন?
আপনি সঠিকভাবে ম্যানশন করেছেন যে আমাদের বেশ কয়েকটি অপশন আছে। আগামীকাল সকালে এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমরা ভালো অবস্থায় থাকব। আপনি কাল দেখতে পারবেন কোন দুজন এক সাথে ব্যাটিংয়ে নামে। আমরা আগে ব্যাটিং করি কিংবা পরে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে প্রত্যাশা কি?
আমরা সবাই আসলে বিশ্বকাপ জিততে চাই। আপনি আমার কাছে জানতে চেয়েছেন বাস্তবিক অর্থে সম্ভাবনা কতটা। আমরা যদি ৪-৫ টা ম্যাচ জিতি তাহলে আমরা নিজেদের এমন অবস্থায় রাখতে পারব যে আমাদের সেমিফাইনাল বা নক আউট স্টেজে খেলার থাকবে সুযোগ আছে। এটা আমাদের প্রথম চাওয়া। এটা করার জন্য আমাদের যথেষ্ট ভালো দল আছে । প্রথম চাওয়া হচ্ছে সেমিফাইনালে যাওয়া।
তামিম সব সময়ই আফগান বোলার ফারুকির শিকার। তামিম নেই এটা স্বস্তির হবে কী…
এটা খুবই অস্বস্তিকর একটা প্রশ্ন। এমন কিছু জিজ্ঞেস করেছেন যে কিনা এখানে নেই। আমি জানি না এটা আসলে কি ধরনের স্বস্তি হবে। ফারুকি দারুণ একজন বোলার, যেই মোকাবেলা করুক না কেন। কয়েক বছর ধরে সে আফগানিস্তানের হয়ে ভালো করছে। আমাদের আসলে তাকে সম্মান দিতে হবে।
টার্গেট কি বিশ্বকাপে…
মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে, লক্ষ্য থাকতে পারে, আপনি যে শব্দই ব্যবহার করুন না কেন এটা একই জিনিস। ভালো কাজ করা এবং ম্যাচ জেতা আমার প্রধান লক্ষ্য। আমি সেমিফাইনালের কথা বলি সেটা একটা স্বপ্ন হতে পারে, লক্ষ্য হতে পারে কিন্তু এটা ম্যাটার করে না।
উইকেট কেমন মনে হচ্ছে..
ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য উইকেট খুবই ভালো। উইকেটে ঘাস আছে তবে আমার মনে হয় এটা স্পোর্টিং উইকেট হবে। হাই স্কোরিং প্রত্যাশা করছি। দলের সমন্বয় কেমন হবে সেটা আগামীকাল সকালে চূড়ান্ত করব উইকেট আবার দেখার পর। কারণ কিউরেটর বলে আজ আরও খানিকটা কাজ করবে।
হৃদয়-তানজিম সাকিব-তানজিদ তামিমদের নিয়ে…
আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে আমার মনে হয় আমাদের ৪-৫ জন ক্রিকেটার আছে সেই বিশ্বকাপ থেকে। তারা দলের মাঝে পজিটিভি নিয়ে এসেছে। কারণ তারা এটা আগে করেছে। এবং তারা দলে মাঝে এনার্জিও নিয়ে এসেছে। আমি পুরো দল নিয়েই রোমাঞ্চিত এবং আমার স্টাফ নিয়ে। বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর পর আসে, এটা আসলে সবার জন্যই। এটা আইসিসির ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। আমাদের সবার প্রত্যাশা আছে উপভোগ করার।
Discussion about this post