ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টি-টুয়েন্টি প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা মিলছে না। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যেতে পেরেছে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন ছন্দের দেখা মিলেনি। এ কারণেই বছরের প্রথম দিন মঙ্গলবারই দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে সাকিব আল হাসানদের। ২০২০ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য খেলতে হবে বাছাই পর্বে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বেঁধে দেওয়া সময়ে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ কারণে সরাসরি খেলার সুযোগটা হারাল দল। ২০২০ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৮ দল। বাংলাদেশ এখন আছে ১০ নম্বরে। নয়ে থাকা শ্রীলঙ্কারও মূল পর্বে জায়গা করে নিতে বাছাই পর্ব খেলতে হবে।
২০১৮ সালের সবশেষ র্যাংকিং অনুযায়ী টি-টুয়েন্টির শীর্ষ আট দেশ পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান সরাসরি খেলবে মূলপর্বে। এবার অবশ্য সুপার টেন নয়, থাকছে ‘সুপার ১২’।
২০১০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না। অথচ আফগানিস্তানের এ টুর্নামেন্ট শুরুই হবে মূল পর্ব থেকে। কেননা দলটি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টি-টুয়েন্টি র্যাংকিংয়ের সেরা আটে রয়েছে। ঐ সময়ের মধ্যে টাইগাররা ছিল ১০ এ। তাই সুপার ১২ খেলতে হলে বাংলাদেশকে এখন প্রাথমিক পর্বটা পেরিয়ে আসতে হবে।
প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অংশ নেবে আরও ছয়টি দল।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ খেলেছে ১৬ টি-টোয়েন্টি, জিতেছে মাত্র ৫টিতে, হেরেছে ১১টিতেই। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা বাদে হেরেছে প্রতিটি সিরিজ-টুর্নামেন্টেই। এর মধ্যে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও।
প্রাথমিক পর্ব খেলতে হবে এ কারণে হতাশ হলেো্ আশাবাদী সাকিব। টাইগার অধিনায়ক জানান, ‘সুপার ১২ সরাসরি খেলতে পারছি না ঠিক আছে, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারব। নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। টুর্নামেন্ট অনেক দূর না যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। এখনো সময় আছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে এটা আমরা কাজে লাগাব।’
Discussion about this post