শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে দাপটে এগিয়ে যাচ্ছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে সাফল্যের আকাশে উড়ছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। মাশরাফির দল দারুণভাবে উঠে এসেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে। এখানেও প্রথম দুই ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করেছে দলটি। যদিও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। ১২ ম্যাচে শেষে দলটির পয়েন্ট ২২। আর রূপগঞ্জের ১৮। ৩টি করে ম্যাচ বাকি দুই দলের। রূপগঞ্জকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ৩টি ম্যাচই জিততে হবে, আর চাইতে হবে শেখ জামালের হার।
এ অবস্থায় সাকিবকে পেয়ে আরও বেশি উজ্জীবিত রূপগঞ্জ। ডিপিএলের চলতি আসরে সুপার লিগ থেকে খেলছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মৌসুমের শুরুতে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করলেও দল সুপার লিগে উঠতে না পারায় রূপগঞ্জে নাম লেখান তিনি।
সাকিবের যোগ দেওয়াটা এক্সট্রা অর্ডিনারি- বলছেন খোদ কোচ ও এক সময়ের সতীর্থ আফতাব আহমেদ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম শনিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তিনি। এ সময়ে সাকিবের যোগ দেওয়া নিয়ে আফতাব বলেন, ‘প্রথম থেকে মাশরাফি আমাদের টিমকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। ওভারঅল সবসময় চাঙ্গাই ছিল। আর সাকিব আসার পর এক্সট্রা অর্ডিনারি। সবার এফোর্ট অনেক বেশি ছিল। সাকিব যেমন চ্যাম্পিয়ন, মাঠেও এমন মানসিকতা ছিল। ওর জন্য বাকি সবারও মানসিকতা একই ছিল।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবেই খেলছেন সুপার লিগে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত বুধবার দেশে ফিরছেণে সাকিব। পরদিন বৃহস্পতিবার মাঠে নামেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষেই। বল হাতে ২ উইকেট আর ব্যাট হাতে ২১ রান করেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট না হলে অবশ্য ইনিংসটা বড় হতেই পারতো।
এদিকে মাশরাফি ও সাকিব, দুজনই কোচ আফতাবের সতীর্থ ছিলেন একটা সময়। এখন তাদের পথচলা ভিন্ন এখন। ক্রিকেটার হিসেবে কোচ হিসেবে দুভাবেই তাদের কাছ থেকে দেখছেন আফতাব। এনিয়ে এই কোচ বলছিলেন, ‘তখন নিজেও খেলোয়াড় ছিলাম, খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি। এখন কোচ হিসেবে দেখতেছি। এটাই হচ্ছে বড় পার্থক্য। কিন্তু ওরা অনেক হেল্পফুল। মাশরাফি প্রথম থেকে সহোযোগিতা করছে অনেক, আর সাকিবও একই, ইনভল্বমেন্ট অনেক বেশি, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দলের জন্য। ও যে আসলো, গেলো তা কিন্তু না। প্রচুর ইনভল্ব। আই হোপ যে এটা আমাদের দলের জন্য বড় বেনিফিট।’
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ কি এবার প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিততে পারবে? শনিবার মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ। তার আগে আফতাবের প্রত্যাশা, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। এটা আমরা টার্গেট নিয়ে খেলছি। আর প্রসেস যেটা ছিল, প্রত্যেক ম্যাচ ২ পয়েন্ট, ২ পয়েন্ট এবং এই ২ পয়েন্ট নিয়েই খেলছি। কার বিরুদ্ধে খেলছি এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না, আমাদের জন্য ২টা পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ২টা পয়েন্ট নিয়েই খেলছি। কালকেও আমাদের ২টা পয়েন্ট, কার সাথে খেলতেছি সেটা ডাজেন্ট মেটার। ২টা পয়েন্ট আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমরা ২টা পয়েন্ট নিয়েই খেলব। পরের যে চারটা পয়েন্ট সেটাও আমরা ২টা পয়েন্ট নিয়ে খেলব। শেষে জানা যাবে কে চ্যাম্পিয়ন হবে কে হবে না।’
Discussion about this post