ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতেই পারেন তিনি। দলের বিশেষজ্ঞ ওপেনার। অথচ তাকে মাঠের বাইরে রেখে জৈব সুরক্ষা বলয় সরিয়ে রেখে একাদশে নেওয়া হলো সৌম্য সরকারকে। তিনিই ঢাকা টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করবেন। ওপেনার সাদমান ইসলাম চোট নিয়ে সরে যেতেই মনে হচ্ছিল সুযোগ আসতে পারে সাইফ হাসানের। কিন্তু চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও ব্যাট হাতে নামা হচ্ছে না বিশেষজ্ঞ এই ওপেনারের।
সাকিবের পরিবর্তে দলে আসা সৌম্য সরকারকে ওপেনিংয়ের জন্য বিবেচনায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে সাকিবের পজিশনে ব্যাটিং করবেন মোহাম্মদ মিথুন। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের শুরুর দিনে টস করতে নেমে তেমন কথাই বললেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দলে ব্যাকআপ ওপেনার থাকার পরও কেন সৌম্যকে নেওয়া হলো-এনিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গণমাধ্যমে বলেন, ‘সাইফ হাসান হলো এইচপির ক্রিকেটার। আমরা জাতীয় দলের সঙ্গে রেখে নার্সিং করছি। আয়ারল্যান্ড আসবে তখন ও তাদের বিপক্ষে খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমাদের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দরকার ছিল। এ কারণে দলে সৌম্য সরকার।’
অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে দুটি টেস্ট খেলে ফেলেছেন সাইফ হাসান। পাকিস্তানে একটি টেস্টের তারপর গত বছর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদিও সেখানে ভালো করতে না পারায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন।
শুরুতে কুঁচকির চোট, পরে নিতম্বের-দুইয়ে মিলিয়ে সাদমান ইসলামের খেলা হচ্ছে না ঢাকা টেস্টে। এ অবস্থায় ঢাকায় তার জায়গায় খেলা হলো না সাইফের। ওয়ানডে সিরিজের পরই জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তাকেই ফেরানো হয়েছে দলে।
পেসার মুস্তাফিজুর রহমান বাদ পড়ায় একাদশে পরিবর্তন হয়েছে তিনটি। তাদের জায়গায় ঢাকা টেস্টে সুযোগ পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার ও আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী।
Discussion about this post