বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো এনিয়ে কোন আইন করেনি। তবে যা শোনা গেছে তাতে বড় বিপদে পড়বেন সাকিব আল হাসান। খবর হল-বছরে দুটির বেশি বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার। এরইমধ্যে নাকি বিসিবি সাকিব-তামিমদের চিঠি দিয়ে এমনটা জানিয়েছে। এনিয়ে অবশ্য কোনো সমস্যা দেখছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বুধবার বারিধারায় একটা মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে যারা খেলছে বা যারা ভবিষ্যতে খেলবে, তাদের স্বপ্ন অবশ্যই বাংলাদেশের হয়ে খেলা। আমার কাছে মনে হয় না এটা (বিদেশি লিগে নিষেধাজ্ঞা) বিরাট কোনো ইস্যু। বাংলাদেশের কজনই বা দেশের বাইরে খেলে? হয়তো সাকিব খেলে। সে আইপিএল খেলে, মুস্তাফিজও আইপিএল খেলে। আইপিএল ছাড়া অন্য লিগগুলোয় হয়তো সাকিব নিয়মিত খেলে। জানি না কী সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত যদি হয়েও থাকে, এটা মনে হয় না বড় কোনো সমস্যা। সবাই চায় বাংলাদেশের হয়ে খেলতে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। এখানে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
অবশ্য নিজের এই ভানা নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি মাশরাফির। তিনি জানালেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বোর্ডের সঙ্গে কথা বললে পরিষ্কার হওয়া যাবে। আমি শুনেছিই কাল। আলোচনা করে এটা ঠিক হতে পারে। এর আগেও শুনেছি, আন্তর্জাতিকভাবেই নিয়মটা হতে যাচ্ছে যে প্রতিটি দেশের খেলোয়াড় দুটির বেশি বিদেশি লিগ খেলতে পারবে না।’
বিদেশি লিগে বাংলাদেশের হয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও দেখা যায় বাইরের লিগে।
এদিকে মাদকসেবীদের নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘তাদেরকে যদি কাউন্সেলিং না করি, পরিবার থেকে শুরু করে আরও কাছের মানুষ যারা আছেন সবাই মিলে আমরা যদি বোঝানোর চেষ্টা না করি, ভুলটাকে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা না করি, তাহলে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যাবে। সবার প্রতি আমার অনুরোধ, যারা মাদকের ভেতরে ঢুকে গেছেন, আপনারা জীবনকে সুন্দর করুন। আর যারা ভালো আছেন, তাদের আর একজনও যেন নতুন করে না যান।’
Discussion about this post