ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্যে উত্তাল দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ম্যাচের আগের দিনই একাদশ জানাতে হবে বোর্ড সভাপতিকে। ব্যাটিং অর্ডারসহ ম্যাচের যাবতীয় পরিকল্পনাও ভাগাভাগি করতে হবে বিসিবি বসের সঙ্গে। যা বলা হবে, ম্যাচে থাকতে হবে সেটির প্রতিফলন। বদলানো যাবে না কিছু। এমন বাধ্যবাধকতায় পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবেন নাজমুল হাসান পাপন।
বোর্ড প্রধানের এমন ‘অপেশাদারি আচরণ’ নিয়ে অবশ্য অবাক হচ্ছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিয়েছেন এসব প্রশ্ন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আমার আলোচনা যা হয়, তিনি দল নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ। তিনি চান, দল সত্যিই ভালো করুক। আজকে এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা হয়নি। গত সপ্তাহে খুব ভালো অনুশীলন সেশন হয়েছে আমাদের। তবে হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা হয়নি। মনে করি না প্রয়োজন আছে। আসলে সিদ্ধান্ত নেওয়া আর নিজের কাজ করার জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয় আমাকে।’
তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এমনটা হয়। তাই অবাক নন ডমিঙ্গো। বলেন, ‘আমি এসেছি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। আমার দেশে অনেক সমস্যার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। সত্যি বলতে কী ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া থেকে আসিনি আমি। সেখানে আপনি দল নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজটা বেশ কঠিন। সেখানে অনেক মতামত ও চ্যালেঞ্জ থাকে। আমার চাকরি বলে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসব করে এসেছি আমি। সেখানে অনেক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমার জন্য কিছুই নতুন নয়। সবমিলিয়ে ঠিক আছি আমি।’
কোচ হিসেবে বোর্ডের চাপ থেকে ক্রিকেটারদের দূরে রেখে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন ডমিঙ্গো। বলেন, ‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ-অধিনায়ক ও ক্রিকেটারদের এসব থেকে দূরে রাখা। আমাকে হতে হবে মাঝের ব্যক্তি। অনেক বড় ভূমিকা এটি, তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি করেছি। ওখানেও অনেক ঝামেলা ও চ্যালেঞ্জ থাকে, আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি এসবে অভ্যস্ত।’
এদিকে বিসিবি প্রধানের কথা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি মুমিনুল হক। প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি উনার মন্তব্য শুনিনি। আপনাদের কাছ থেকেই শুনছি। ঠিক জানি না। আমার জন্য মন্তব্য করা কঠিন।’
যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন, আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেটের সম্প্রসারণ আর সারাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করাই তিনি ও তার ক্রিকেট বোর্ডের মূল কাজ।
Discussion about this post