ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিউজিল্যান্ডে দুঃস্বপ্নের প্রহর শেষ হচ্ছে না কিছুতেই! এবার অধরা জয়ের খোঁজে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শনিবার সেই পুরনো বাংলাদেশেরই দেখা মিলল। যারা তাসমান সাগরের পাড়ে শুধু হতাশারই সাক্ষী হয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ১৪ ওয়ানডেতে জয়শূন্য টাইগাররা। সব মিলিয়ে জয় সোনার হরিণ। ২৭টি ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডে জয় পেল না বাংলাদেশ দল। কিউই কন্ডিশন, দৃশ্যপট সব জানা থাকলেও ধরা দিচ্ছে না সাফল্য!
শনিবার সকালে ডানেডিন ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড উড়িয়ে দেয় টাইগারদের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিমের দল অলআউট মাত্র ১৩১ রানে। উইকেট আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিল দল। যেখানে বাংলাদেশ ছিল অসহায় সেখানেই দাপটে রান তুলেছে স্বাগতিকরা। মাত্র ২১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের বন্দরে দল।
কেন এমন হলো? তিন সপ্তাহ আগে দেশটিতে পা রেখে ভাল প্রস্তুতি নিয়েও কেন কিছুই করা হলো না? বাংলাদেশ কি ১৩১ রানে অলআউটের মতো দল? এমন অনেক প্রশ্ন ভাসছে বাতাসে।
জন্মদিনে ফ্লপ তামিম ইকবাল দাঁড়ালেন কাঠগড়ায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, কুইন্সটাউনে আমরা বেশ কিছু দিন কাটিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি ঠিক ছিল। আমি এসব বিষয় নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে পারি না। এখানের কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন নয়। আমরা প্রায়ই নিউজিল্যান্ডে আসি। যদিও নিউজিল্যান্ড আমাদের ওখানে যায় না। তো এই কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন না। আমরা জানি, এখানে কেমন হতে পারে। আমরা আগামী ম্যাচে ভাল কিছু করার আশা করব।’
ব্যাটসম্যানরা উইকেটে থিতু হয়েই হারিয়েছেন উইকেট। ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পা রাখেন। এরমধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ২৭ রানের। কেউ দ্বায়িত্ব নিতে পারেন নি। দল তো পথ হারাবেই।
শনিবার ডানেডিনে ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল হতাশা নিয়ে বলেন, ‘সত্য হলো আলগা শটে অনেক উইকেট হারিয়েছি। কোনো সন্দেহ নেই ওরা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তবু আমার মনে হয়, বেশ কিছু ল্যুজ শট খেলেছি। দায় আমাদেরই নিতে হবে। আমরা আমাদের ব্যাটিংয়ের ওপর অনেক গর্ববোধ করি কিন্তু আজ সেটা ক্লিক করেনি। এই উইকেটে ১৩১ রান জেতার মতো ধারেকাছেও ছিল না।’
হতাশ হলেও সামনে চোখ রাখছেন তামিম। সিরিজের পরের ওয়ানডে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে। দিবা-রাত্রির ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায়।
Discussion about this post