সমালোচনার তোপে আছেন তিনি। কিন্তু মুশফিকুর রহীম এনিয়ে ভাবতে রাজী নন। স্পষ্ট জানিয়ে রাখলেন সততার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলে তাকে সরিয়ে দিতে পারে। অবশ্য ভুল বলেন নি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। টাইগাররা যে ১০টি টেস্ট জিতেছে তার ৭টির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ৩৪ টেস্টে অধিনায়ক থেকে ৭ জয়। ড্র ৯ টেস্টে। হার ১৮টিতে।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটো টেস্ট হেরে সব অর্জনকে ভুলে যেতে চাইছেন অনেকে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হার। রোববার ব্লুমফন্টেইনে আড়াই দিনের ইনিংস ও ২৫৪ রানে হার। এখন তো বলা হচ্ছে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হবে মুশফিককে। এনিয়ে টেস্ট শেষে তিনি জানালেন, ‘আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্ত বিসিবির। তারাই আমাকে এই সম্মান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে আমার সেরা চেষ্টা করেছি। তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
টেস্ট অধিনায়ক এখানেই থামেননি। আরো বলেন, ‘আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেই দায় নিচ্ছি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এখন পুরোটা বোর্ডের ব্যাপার। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে।’
রোববার হাসপাতালেও ছুটে যেতে হয়েছে মুশিকে। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার ডুয়ানে অলিভিয়েরের বাউন্সার হেলমেটে আঘাত পেয়ে মুশফিককে হাসপাতালে যেতে হয়। যদিও সেই আঘাত যে গুরুত্বর নয়। পুরস্কার প্রদাণ অনুষ্ঠানে এসে জানান, তিনি নিজেই সেটা প্রমাণ করলেন। তবে তার মন যে ভাল নেই সেটা এমনিতেই বলে দেয়া যায়। দেশের হয়ে এতো সাফল্য যিনি এনে দিয়েছেন তার তো অভিমান হতেই পারে।
Discussion about this post