এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ছিল দারুণগুরুত্বপূর্ণ। তেমন ম্যাচেই কীনা শ্রীলঙ্কার সামনে লড়াইটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেল! বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের টার্গেটে নেমে দ্রুত খেলেছে লঙ্কানরা। শেষ অব্দি এই ম্যাচে টাইগারদের ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ৩২ বল আগেই। এমন হারের পর সুপার ফোরের পথ বেশ খানিকটা কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের।
একই গ্রুপে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সুপার ফোর উঠতে তাই নেট রান রেটটা রাখতে পারে বড় ভূমিকা। বাংলাদেশকে ৩২ বল হাতে রেখে সেই রান রেট বাড়িয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারানো শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট +২.৫৯৫। +৪.৭০০ নেট রান রেট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের নেট রান রেট –০.৬৫০।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ অতি দুর্বল শুরু করে। দুই ওপেনার শূন্যেই ফিরলে দলের অবস্থা হতাশাজনক হয়।
অধিনায়ক লিটন দাস ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা দেখালেও দলের জন্য বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি। হৃদয়, মেহেদী সহ অন্যান্য ব্যাটসম্যান কিছু রান পেলেও পুরো দল মাত্র ১৩৯ রান করে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষ করে।
শ্রীলঙ্কার বোলাররা নিজেদের দায়িত্বে ছিলেন নিখুঁত। বিশেষ করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২ উইকেট নিয়েছিলেন।
জবাবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলোয়ার দেখালেন। নিসাঙ্কা ও মিশারা ঝড়ো ব্যাটিং করে মাত্র ১৪.৪ ওভারেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।
এই হারের ফলে বাংলাদেশের নেট রান রেট এখন -০.৬৫০, যা গ্রুপের অন্য দুই দলের থেকে অনেক পিছিয়ে। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তানজিদ ০, পারভেজ ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, জাকের ৪১*, শামীম ৪২*; থুসারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিনারা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৭-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিসাঙ্কা ৫০, কুসাল মেন্ডিস ৩, মিশারা ৪৬*, কুসাল পেরেরা ৯, শানাকা ১, আসালাঙ্কা ১০*; শরিফুল ৩-০-২৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩৫-১, তানজিম ৩-০-২৩-১, মেহেদি ৪-০-২৯-২, রিশাদ ১-০-১৮-০, শামীম ০.৪-০-৪-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী
Discussion about this post