মনে হচ্ছিল একেবারে অনায়াসেই জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু কে জানতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ ওভারে জমা আছে এতো নাটক! শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ৮ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সরফরাজ আহমেদ (৬) ও হায়দার আলীকে (৪৫) আউট।
শেষ ৩ বলে ৮ রান চাই পাকিস্তানের। বাংলাদেশ সেই রান কী আটকে দিতে পারবে? কিন্তু মাহমুদউল্লাহর হ্যাটট্রিক বলে ছক্কা হাঁকালেন ইফতিখার। পরের বলে মাহমুদউল্লাহ ফিরিয়ে দেন তাকে। আবারও ম্যাচে ফিরে টাইগাররা। শেষ বলে ২, আটকে দেওয়ার মিশন। এবার মোহাম্মদ নওয়াজ সেই বলে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হলেও ডেড বল দেন আম্পায়ার। এরপর সেই বলটি আবার পেয়ে চার মারলেন। জিতে গেল পাকিস্তান। রোমাঞ্চ জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ।
সোমবার মিরপুরের শেরেবাংলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। তারা ৫ উইকেটে ১২৭ রান। এর পথ ধরে সিরিজ ০-৩ এ হারল টাইগাররা।
সোমবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে দল বড় পুঁজি পায়নি। ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে ১২৪ রান। কিন্তু সেই পুঁজি নিয়ে দল বেশ লড়ল। শেষ বলে এসে জয়ের দেখা পায় পাকিস্তান।
ম্যাচে বাবর আজমকে ১৯ রানে আউট করে শুরুটা করেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তারপর অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলী ৪৯ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে বিপাকে ফেলেন টাইগারদের। রিজওয়ান ৪৩ বলে ৪০ রান করে আউট। ১২ বলে ৬ রান করে সরফরাজ আউট। তারপর মাহমুদউল্লাহ শেষ ওভারে নেন ৩ উইকেট। জমিয়ে তুলেন ম্যাচ।
এদিন ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। ওপেনিংয়ে নেমে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আউট হন ১৯তম ওভারে। খেলেন ধীরলয়ে। তিন নম্বরে উঠে আসা শামীম হোসেন ২২ রান করেন ২৩ বলে। আফিফ হোসেন ২১ বলে ২০।
সব মিলিয়ে হারই দেখল দল। অথচ বিশ্বকাপ মিশনের আগে দেশের মাঠে দারুণ খেলেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এবার পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ। এর আগে নিজ মাঠে সবশেষ ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল হোয়াইটওয়াশ হয়। আবার স্মৃতি ফিরে এসেছে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদি ৫*, আমিনুল ৩; নওয়াজ ১-০-২-০, দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, ইফতেখার ৪-০-১৩-০, কাদির ৪-০-৩৫-২)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৫/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরাজ ৬, ইফতেখার ৬, খুশদিল ০*, নওয়াজ ৪*; মেহেদি ৪-০-১৯-০, তাসকিন ৩.১-০-১৬-০, নাসুম ৪-০-২০-০, শহিদুল ৩.৫-০-৩৩-০, আমিনুল ৪-০-২৬-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১০-৩)
ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: হায়দার আলী
সিরিজসেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান
Discussion about this post