আশা ছিল রঙিন এক সমাপ্তির। মাঠে নেমেছিল নতুন একাদশ, ছিল কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। লিটন দাস নিজের ব্যাটে রঙ তুলেছিলেন আগুনের, কিন্তু সেই ক্যানভাসে বারবার এসে ভিজে দিল বৃষ্টি। আর আলো? সেটাও থেমে গেল অচেনা বেগে। শেষ পর্যন্ত অসমাপ্ত এক গল্পই থেকে গেল বাংলাদেশের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে।
তবু হতাশার কিছু নেই। সিরিজ তো আগেই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এশিয়া কাপের আগে বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে মাঠ ছাড়ল লিটনরা।
এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সুযোগটা কাজে লাগান কেবল একজন—অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। মাত্র ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে তুলেছিলেন ১৪তম ফিফটি, যা তাকে বসিয়ে দেয় বাংলাদেশের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতকধারীর আসনে।
একদিকে ঝড়, অন্যদিকে ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং। হৃদয়, সাইফ কিংবা শামীম—কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে ঝলক দেখান জাকের আলি ও নুরুল হাসান সোহান। বৃষ্টি থামার আগে ১৮.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬৪/৪ তুলে নেয় বাংলাদেশ।
নেদারল্যান্ডস ব্যাট হাতে খুব একটা লড়াই দিতে পারেনি। রান ওঠে মন্থর গতিতে, উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। একমাত্র আরিয়ান দত্ত কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু ১৭.৩ ওভারে ১০৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর ফের বৃষ্টি, সঙ্গে যুক্ত হয় ফ্লাডলাইট বিভ্রাট। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয় আম্পায়ারদের।
বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার-নেন ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ ও তাসকিনের ঝুলিতে যায় ২টি করে উইকেট।
এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের এশিয়া কাপ-পূর্ববর্তী প্রস্ততি। ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এই সিরিজ তাদের দিয়েছে কিছু পরীক্ষিত ব্যাটার, কিছু আত্মবিশ্বাস, আর কিছু মূল্যবান পাঠ।
Discussion about this post