শুরুটা যেমন হয়েছিল, শেষটা তেমন হলো না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পায় ঝড়ো সূচনা, কিন্তু ইনিংসের বাকি অংশে ব্যাটিং ব্যর্থতায় থেমে যায় মাত্র ১৫৪ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল চমকপ্রদ। পারভেজ হোসেন ইমন তুলে আনেন দারুণ গতি। ২২ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে চারপাশে মারমুখী ব্যাটিংয়ের ছাপ রাখেন তিনি। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম কিছুটা ধীর ছিলেন (১৭ বলে ১৬)। তবু পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে ৫৪ রান।
কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। ইমনের বিদায়ের পর লিটন দাস ক্রিজে এসেই ছন্দ খুঁজে পাননি—১১ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তিনে নামা নাঈম শেখ ছিলেন অপরাজিত (২৯ বলে ৩২), কিন্তু তার ইনিংসটি ছিল মন্থর গতির। মাঝের ওভারগুলোতে বাংলাদেশ রানরেট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। তাওহিদ হৃদয় (১৩ বলে ১০) ছিলেন রীতিমতো সংগ্রামী।
শেষ দিকে কিছুটা রঙ লাগে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শামীম হোসেনের ব্যাটে। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করেন। আর শামীমের ৫ বলে ১৪ রানের ছোট ইনিংস দলকে ১৫০ পের করাতে সাহায্য করে। তবু বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি লিটন দাসের দলের। শ্রীলঙ্কার পক্ষে বোলিংয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন মহিশ থিকশানা (৪-০-৩৭-২), সঙ্গে উইকেট নেন শানাকা, থুশারা ও ভ্যান্ডারসে।
এই মাঠে ১৫৫ রানের কম রান তাড়া করে জেতার নজির মাত্র একবার, তবে সেই ব্যতিক্রম ধরে রাখাই এখন শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য। আর বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ-এই মাঝারি স্কোর রক্ষা করা।
আজকের ম্যাচে বিশেষ নজর ছিল অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দিকে। দীর্ঘ ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন তিনি। দলে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদও। একাদশে জায়গা পাননি আগের ম্যাচ খেলা জাকের আলী, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (পারভেজ ৩৮, তানজিদ ১৬, লিটন ৬, নাঈম ৩২*, হৃদয় ১০, মিরাজ ২৯, শামীম ১৪*; কারুনারাত্নে ১-০-৮-০, থুশারা ৪-০-৩২-১, বিনুরা ৩-০-২২-০, থিকশানা ৪-০-৩৭-২, শানাকা ৪-০-২২-১, ভ্যান্ডারসে ৪-০-২৫-১)
Discussion about this post