জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার লড়াইয়ে আছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে কথা বলছে তার ব্যাট। এইতো দুই ম্যাচ আগেই অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ১৩৩ রান। সেটাই ছিল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সেরা ইনিংস। রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়লেন। তুলে নিলেন ঝড়ো শতরান। ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। তারই পথ ধরে আবাহনী লিমিটেড জিতেতে ৫৬ রানে।
রোববার ব্যাট হাতে নাজমুল ইসলাম শান্ত ও সাইফ হাসানের ব্যাটে ৪ উইকেটে ৩৩৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে আবাহনী। জবাবে ফারদিন হাসান অনির সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুর নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ৩ উইকেটে ২৭৯ রানে।
ম্যাচটা শান্তরই হয়ে থেকেছে। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে এ বাঁহাতি করেন হাফসেঞ্চুরি।
শতরান পেতে শান্তর অপেক্ষা করতে হয় ৯৮ বল। যেখানে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয়। পরের ৫০ করতে খেলেন ২২টি বল। সব মিলিয়ে ১২০ বলে সমান ৯ চার ও ৯ ছয়ে ১৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রানে ফিরে যান সাইফ হাসান।
এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার ওপরে আবাহনী। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। এরপরই খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। দলটির পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১৪।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৫০ ওভারে ৩৩৫/৪ (এনামুল ১৮, সাইফ ৯৪, শান্ত ১৫০*, নাসির ৪৫, মিঠুন ৯, মোসাদ্দেক ৯*; সাইফ ২/৫০, রায়হান ০/৬৩, আফিফ ০/৫৪, নাঈম জুনিয়র ২/৭৩, হৃদয় ০/৩০, মিনহাজ ০/৪৭, হৃদয় ০/১৭)
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৭৯/৩ (ফারদিন ১০৪* আহত অবসর, সাদমান ৫৬, হৃদয় ৮৩, আফিফ ১৫, মিনহাজ ৫*, সজীব ১*; মাশরাফি ২/৩৫, আরিফুল ০/৪২, সন্দীপ ০/২৮, নাসির ১/৩৪, মোসাদ্দেক ০/৪৪, সানজামুল ০/৫২, মনন ০/৪০)
ফল: আবাহনী ৫৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত
Discussion about this post