ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
হঠাৎ করেই সরগরম ঢাকার ক্রীড়াঙ্গন। ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কর্মকর্তারাও। গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। এই কেলেঙ্কারিতে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নামও। কারণ ঝামেলায় জড়িয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।
ক্যাসিনো কাণ্ডের পর শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন লোকমান। অবশ্য বন্ধুর এমন কাজে বিব্রত হওয়ার কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে দোষী প্রমাণ হলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না বলে জানান বোর্ড প্রধান।
আলোচিত এই ক্যাসিনো প্রসঙ্গ নিয়ে গুলশানে পাপন তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। যেটা বুঝি যে কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে। এটাতে তো কারও কোনো দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই। এটুকু জানি যে এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপটি নিয়েছেন এটাকে ভালো না বলার কোনো কারণ নেই। লোকমান হোসেন ভুঁইয়া (ক্লাব) ভাড়া দিয়েছে। সে যদি ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়ে থাকে এবং সেটির সঙ্গে যদি তার সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে বিচার হবে। যদি ওর (লোকমান) বিদেশে কোনো টাকা থাকে, যেটার ঘোষণা সে দেয় নাই, বা সঠিকভাবে যায় নাই, তাহলে সে কেন, যে কারো বিচার হবে। খালি একজন নিয়ে ইস্যুটা না। যার আছে, তারই হবে। এখন যেহেতু এটা প্রক্রিয়াধীন। এখনও মামলা হয় নাই… মামলা হবে, তদন্ত হবে, রায় হবে, সবই বের হবে। বের হলেই বোঝা যাবে।’
যদিও এই ঘটনায় বিব্রত হওয়ার কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বিব্রত না মানে এখনই মন্তব্য করতে রাজি না। আগে জানি কী হয়েছে। আরও নাম আসতে পারে, কারা কারা জড়িত। আগে জানি, বুঝি। এখনই মন্তব্য করার সময় হয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমরা জানতামই না এমন কিছু হচ্ছে। যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আমি মনে করি এটাকে পুরোপুরি সমর্থন দেওয়া উচিত দেশবাসীর।’
জানা গেছে, মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো বসানোর ভাড়া হিসেবে লোকমান মাসে ২১ লাখ টাকা পেতেন। আর এই অর্থ লোকমান তার নিজের বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাচার করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাংকে তার জমা রয়েছে প্রায় ৪১ কোটি টাকা!
Discussion about this post