একেই বলে কারও সর্বনাশ কারও পৌষমাস! এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলেন লিটন কুমার দাস। তার জায়গায় দলে এনামুল হক বিজয়। অথচ তিনি ছিলেন না এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ভাবনায় গড়া ৩২ জনের প্রাথমিক দলেও। মূল স্কোয়াড ঘোষণার পর স্ট্যান্ড বাই তালিকায়ও ছিলেন না তিনি। তারপরও ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান খেলতে গেলেন এশিয়া কাপে।
অসুস্থতার কারণে ছিটকেই গেলেন লিটন। এমনিতে গত কিছুদিন ধরে জ্বর লিটনের। ডেঙ্গুসহ সব ধরনের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেও জ্বরের মাত্রা কমেনি। ভাইরাস জ্বরের কারণে এশিয়া কাপ খেলতে পারছেন না এই ওপেনার। সংবাদ বিবৃতিতে বুধবার সকালে লিটনের বদলি হিসেবে এনামুলের নাম ঘোষণা করে বিসিবি। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে বুধবারই দলের সঙ্গে যোগ দিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
বিবৃতিতে বিসিবি উল্লেখ করে, জ্বরের কারণে অসুস্থতা থেকে সেরে উঠতে না পারায় আসর থেকে বাদ পড়েন লিটন দাস। লিটনের বদলি হিসেবে ডানহাতি ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়কে দলে নিল নির্বাচক প্যানেল।
জাতীয় দলের হয়ে ৪৪টি ওয়ানডে খেলে ১২৫৪ রান করেছেন এনামুল বিজয়। তিনটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দেশের হয়ে শেষ ওয়ানডে খেলেন বিজয়
জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘বিজয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করছেন এবং আমরা তাকে সবসময় নজরে রেখেছি। সে সবসময়ই আমাদের বিবেচনায় ছিলেন। লিটনের অনুপস্থিতিতে উইকেট কিপিং করতে পারবে এমন একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান দরকার ছিল আমাদের। সে হিসেবেই আমরা বিজয়কে নিয়েছি।’
এদিকে অধিনায়ক সাকিব বলছিলেন কেন নেওয়া হলো বিজয়কে, ‘যদি মুশফিক ভাইয়ের কিছু হয় বিশেষ করে খেলার সময়; কনকাশন হতে পারে, ছোট খাটো ইনজুরি হতে পারে। দেখা যাচ্ছে ওইদিন উইকেট কিপিং করতে পারবে না। যেহেতু একটা নিয়ম আছে সেকেন্ড উইকেট কিপার থাকলে সেও উইকেট কিপিং করতে পারবে। তাই আমাদের এই গ্যাপগুলো পূরণ করার জন্য বিজয়কে দলে নেওয়া।’
সাকিব আরও বললেন, ‘যেহেতু আমাদের আরেকজন অতিরিক্ত উইকেট কিপার নেই, তাই আমাদের জন্য এটা একটা বিষয়। আর লিটনও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, বিজয়ও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে।’
দলে জায়গা পেয়ে বিজয় বলেন, ‘আমাকে চট্টগ্রামে টাইগার্সের ম্যানেজার বলেছে অনুশীলন করতে থাকো, ডাক আসতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য।’
বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, নাঈম শেখ, শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও এনামুল হক বিজয়।
Discussion about this post