প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না! শারজাহর মঞ্চে শেষ ম্যাচটি ছিল একটি অলিখিত ফাইনাল। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ভাগাভাগির পর এই তৃতীয় ম্যাচে নির্ধারিত হলো বিজয়ী। প্রতিপক্ষ আইসিসির সহযোগী সদস্য আরব আমিরাত। কিন্তু ফলাফল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর-৭ উইকেটে হেরে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হাতছাড়া করল লিটন দাসের দল।
১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনোরকম চাপে না পড়ে সহজেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এ জয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল আমিরাত। আগেরবার ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের জন্য এই সিরিজ ছিল চ্যালেঞ্জিং। পাকিস্তান সিরিজ স্থগিত হওয়ার পর হুট করেই এক ম্যাচ বাড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে রূপ নেওয়া এই সফরে শেষ ম্যাচটিই হয়ে উঠল দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি। ম্যাচ শেষে হতাশ লিটন বলেন, ‘যখন এখানে এসেছি, সব সময় ম্যাচ জেতার কথাই ভেবেছি। এটা জীবনেরই অংশ। যখন আপনি ক্রিকেট খেলবেন, প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে, তাঁদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
সিরিজজুড়ে বারবার টস হার এবং পরে ব্যাট করার কারণে শিশিরের প্রভাবও উঠে এসেছে লিটনের কথায়, ‘আজ আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। এমন উইকেট ও কন্ডিশনে এমন কিছু আমরা করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই আমরা পরে ব্যাট করেছি, শিশিরই মেইন ফ্যাক্টর ছিল।’
লিটন প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেন, ‘তারা খুবই ভালো খেলেছে, ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তারা তেমন চাপ নেয়নি, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
প্রথমটিতে জিতলেও সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৫ রান করেও হেরে যায় বাংলাদেশ। গতকাল তৃতীয় ম্যাচে ৮৪ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট। পরে কোনোভাবে ১৬২-তে পৌঁছালেও তা প্রতিপক্ষের সামনে ছিল না কোনো বড় চ্যালেঞ্জ। এবার ৭ উইকেটে হার। একইসঙ্গে সিরিজও হাতছাড়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার আমিরাত-সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে ফের মুখ থুবড়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post