ড্র করার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লড়াইটাও করতে পারল না। টেস্টের শেষ দিনে এসে ভরাডুবি মুশফিকুর রহীমদের। পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে সারদিন খেলা দুরে থাক, লাঞ্চের আগেই সর্বনাশ। টাইগাররা এক সেশনও খেলতে পারল না। ৫ম দিন সকালে এক ঘণ্টা ২০ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। ২য় ইনিংসে ৯০ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টে জিতল ৩৩৩ রানে।
ম্যাচে সোমবার এক চার ও ছক্কায় যা একটু লড়াই করেন মিরাজ। কিন্তু অন্যরা উইকেটে আসা-যাওয়ার খেলাতেই থাকলেন ব্যস্ত। যার পথ ধরে বাজে হার টাইগারদের। ৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেল ১৭.১ ওভার খেলে। শেষ দিনে ৩৫ রানে পড়ে শেষ ৭ উইকেট।
টেস্টে এই নিয়ে নবমবার একশর নিচে অলআউট হল বালাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে অবশ্য এবারই প্রথম এই অভিজ্ঞতা হল। ২০০২ সালে ১০২ রান ছিল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
রানের দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম হার।
প্রোটিয়াদের পেস আর স্পিন ঘূর্ণিতে উড়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্পিনার কেশব মাহারাজ একাই নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদ আর দুটি নেন মরনে মর্কেলের। যদিও এই পেসার টাইগারদের বিপক্ষে ২য় টেস্টে খেলতে পারবেন না।
সত্যিকার অর্থে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই এমন বাজে হার। যে উইকেটে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে রান তুলেছেন সেখানেই বাজে শটে আউট হয়েছেন টাইগাররা। নিজেদের মতো উইকেট পেয়েও কাজে লাগানো হয়নি। এই আক্ষেপ নিয়েই ৬ অক্টোবর ২য় টেস্টে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়বেন মুশফিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (এলগার ১৯৯, আমলা ১৩৭) ডি. ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৭/৬ ডি. (বাভুমা ৭১, ডু প্লেসিস ৮১; মুমিনুল ৩/২৭)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩২০/১০ (মুমিনুল ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৬; মহারাজ ৩/৯২) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৯০/১০ (কায়েস ৩২; মহারাজ ৪/২৫)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৩ রানে জয়ী
Discussion about this post