লো-স্কোরিং ম্যাচে উত্তেজনার কমতি ছিল না! মনে হচ্ছিল শেষ বিকেলের নাটকে বুঝি জিতেও যেতে পারে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তেমন কিছু হলো না! মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে ৪ উইকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগে হারাল আবাহনী লিমিটেড।
রোববার সকালে রিপন মণ্ডলের ৪৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ২৩০ রানে শেষ হয় মাশরাফির দলের ইনিংস। তারপর নাঈম শেখ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ৬০ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় আবাহনী। অবশ্য ৬ উইকেট তুলে নিয়ে আবাহনীকে প্রায় কোণঠাসা করে ফেলেছিল লিজেন্ডসরা।
এই ম্যাচেও দারুণ রোমাঞ্চও তৈরি হয়েছিল। রূপগঞ্জ আর একটি উইকেট তুলতে পারলেই আবাহনীকে কাবু করে ফেলা যেতো। কিন্তু কাজে গিয়েও হলো না। সুপার লিগে আবাহনী তুলে নিল টানা তৃতীয় জয়। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ধানমন্ডির ক্লাব। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের।
এদিন রিপনের বলেই সর্বনাশ। ৮.২ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। পাকিস্তানের খুশদীল শাহ ৪২ রানে তুলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, তানজিম সাকিব ও তানবীর ইসলাম।
রূপগঞ্জের হয়ে এদিন লড়াই করলেন ইরফান শুক্কুর ও চিরাগ জানি। ফিফটি পেলেন দু’জনই। দারুণ ফর্মে থাকা চিরাগ ৫০ ও শুক্কুর ৫২ রানে ফিরে গেলে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন ভাঙে। জাওয়াদ রোয়েন ৪৬ রান করেন। আর অধিনায়ক মাশরাফি ৭ নম্বরে নেমে ২২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রান তুলেন। তানবীর ১৫ বলে ১৮।
জবাবে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল ও নাঈম শেখ গড়েন ৭২ রানের জুটি বাঁধেন। মাশরাফি ভাঙেন এই জুটি। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই পেসার এদিন করলেন অফস্পিন। তাতেই ৩৩ রান করা এনামুলকে এলবিডব্লিউ। তারপর নাঈম শেখের ৫৬করে পথ দেখান আবাহনীকে।
রূপগঞ্জের মুক্তার আলি ৩ উইকেট নেন। মাশরাফি, তানবীর ও আব্দুল হালিম নেন একটি করে উইকেট।










Discussion about this post