ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টানা চারদিনই ঢাকা টেস্টে দাপট ছিল বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার শেষে দিনে তা ধরে রাখতে পারলেই আনন্দে মাততে পারবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জিততে বাংলাদেশের চাই ৮ উইকেট। আর জিম্বাবুয়ে ৩৬৭ রান। বিশ্বরেকর্ড গড়লেই কেবল বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে সফরকারীরা। তবে সেটা আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভবই মনে হচ্ছে।
এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রায় সাড়ে আট বছর পর দেখা পেলেন শতরানের। সেঞ্চুরির পরই সিজদায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি। তার সঙ্গে একইভাবে সিজদাহ করেন মেহেদী হাসান মিরিজও।
রিয়াদ করলেন শতরানের আনন্দে। আর মিরাজ কেন সিজদাহ করলেন তার ব্যখা দিলেন সংবাদ সম্মেলনে। বুধবার দিন শেষে বলছিলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই কিন্তু রান করতে পারছিলেন না। এই ম্যাচটায় কিন্তু আমাদের অনেক প্রাপ্তি ছিল। দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা যদি ডমিনেট করে তাহলে দল কিন্তু দল ভালো খেলে। এই খুশিতেই আসলে সিজদাহ দেওয়া। আসলে খুব ভালো লাগছে। সবার একই অনুভূতি কাজ করছিল। নিজের অনুভূতি ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সিজদাহ করেছি আমিও।’
টেস্ট সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ আছে বলে মনে করেন মিরাজ। জানালেন, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে। আশা করছি ম্যাচটা আমাদের দিকেই আসবে। সাড়ে চারশ’র মত টার্গেট দিয়েছি। ওদের দুই উইকেট শিকার করেছি। কাল একটা দিন আছে, তিনটা সেশন আছে। আমাদের বোলাররা যদি ভালো লেন্থে বল করতে পারে, তাহলে ম্যাচটা আমরাই জিতবো।’
স্পিনাররা উইকেট থেকে শেষ দিনে বাড়তি সুযোগ পেলে বড় ব্যবধানেই জিতবে বাংলাদেশ। অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে রাজী নন মিরাজ। জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের বোলারদের ভালো জায়গায় বল করতে হবে। চারদিন শেষ হয়ে গেলেও কিন্তু বল লো হচ্ছে না বা এক্সট্রা অনেক কিছু হচ্ছে না দুই-একটা ছাড়া। আমাদের বোলারদের হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। কষ্ট করতে হবে কালকের দিনটা। বোলাররা যারা আছে তারা শতভাগ চেষ্টা করবে উইকেটের জন্য। আমাদের স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলিং করতে হবে। কিছু কিছু সময় উইকেট ভিন্ন আচরণ করেছে। টার্গেট থাকবে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করা।’
Discussion about this post