একটা সময় টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের বিপিএল ২০২৫ মিশন শেষ হলো টানা পাঁচ ম্যাচ হারের লজ্জায়। এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় হারে বিদায় নিল তারা। খুলনা টাইগার্সের স্পিনারদের সামনে রংপুরের ব্যাটাররা যেন অসহায় হয়ে পড়েন, মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে, ১০.২ ওভারে ৮৯ রান তুলে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় খুলনা।
টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে এরপরই ছন্দপতন। পরবর্তী পাঁচ ম্যাচেই পরাজয়। এলিমিনেটর ম্যাচের জন্য ইংল্যান্ডের জেমস ভিন্স, অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলকে দলে ভেড়ালেও পারফরম্যান্সের ছাপ ফেলতে পারেনি তারা। তিনজন মিলে মাত্র ১২ রান করেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। খুলনার স্পিন জালে ধরা পড়ে মাত্র ৮৫ রানেই অলআউট হয় রংপুর।
মাত্র ৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের শুরুতেই মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় খুলনা টাইগার্স। তবে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৩৩ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে ২৭ বলে ২৯ রান করেন অ্যালেক্স রস। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাত্র ১০.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স।
খুলনার বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। দুজনই তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মিরাজ। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও মুশফিক হাসান একটি করে উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে খুলনা টাইগার্স ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পেয়েছে। ৫ মার্চ তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলের মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে বড় বাজেটের দল গড়েও ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বিপিএল থেকে ছিটকে গেল রংপুর রাইডার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রংপুর রাইডার্স: ১৬.৫ ওভারে ৮৫/১০ (ভিন্স ১, সৌম্য ০, সাইফ হাসান ৪, শেখ মেহেদি ১, সাইফ উদ্দিন ৮, সোহান ২৩, ডেভিড ৭, রাসেল ৪, রকিবুল ১, আকিফ ৩২; মিরাজ ৪-০-১০-৩, নাসুম ৪-১-১৬-৩, নাওয়াজ ৪-০-২১-১, হাসান ৩-০-১৮-১, হোল্ডার ১-০-১১-০, মুশফিক ০.৫-০-৮-১)।
খুলনা টাইগার্স : ১০.২ ওভারে ৮৯/১ (মিরাজ ০, নাঈম ৪৮*, রস ২৯*; আকিফ ৩-০-২০-১)
ফল: খুলনা টাইগার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নাসুম আহমেদ।
Discussion about this post