অবসর থেকে সরে এলেও একটা ইঙ্গিত ঠিকই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। অধিনায়ক থাকবেন নাকি সাধারণ একজন ক্রিকেটার হিসেবেই লড়ে যাবেন সেটা নিয়ে ছিলেন দ্বিধায়। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে বৈঠক করে নিজের সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। লন্ডন থেকে পিঠের চোটের চিকিৎসা নিয়ে ফিরে তামিম কথা বলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে। এরপরই নেন কঠিন সিদ্ধান্ত!
কেন তিনি ছাড়লেন নেতৃত্ব? সদ্য সাবেক অধিনায়ক তামিম জানালেন, তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব চালিয়ে গেলে হতো স্বার্থপরের মতো সিদ্ধান্ত। অবশ্য নেতৃত্ব ছাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ফিটনেস। পিঠের চোট অনেক দিন ধরেই তার শত্রু। এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ সামনে রেখেও স্বস্তিতে নেই। এ কারণে দলের কথা চিন্তা করে ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি নেতৃত্ব ছাড়ার পরই তামিম হন অধিনায়ক। সব মিলিয়ে ৩৭ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেশ সফলই বলা যায় তাকে। জয় ২১টিতে, হার ১৪ ম্যাচে। ফলাফল আসেনি দুই ম্যাচে।
বৃহস্পতিবার বিদায় বেলায় বলছিলেন, ‘ভ্রমণটা দারুণ ছিল, ফলই কথা বলবে। আমি ভালো করেছি। তবে যদি অধিনায়ক থাকতাম, তাহলে স্বার্থপরের মতো হতো। যারা আমাকে চেনে, আমি সব সময় দলকে এগিয়ে রাখি। এটিই আমার হয়ে কথা বলবে।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছ মনে হয় সবার লক্ষ্যটা একই। একদিকেই তাকিয়ে আছি আমরা, আমি অধিনায়ক থাকি বা অন্য কেউ থাকুক লক্ষ্য একটাই। আমি যদি বলি যে আমি স্যাড না, তাহলে মিথ্যা হবে। কারণ এতদিন একটা দলের সঙ্গে ছিলাম। ৯০ ভাগ মানুষ স্বার্থপর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যখন দল সামনে আসে তখন স্বার্থপরের ব্যাপারটা দূরে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমার এই সিদ্ধান্ত নিঃস্বার্থ। আমি খেললে যদি একাদশে থাকি, তাহলে আমার তরফ থেকে অধিনায়ককে সহায়তা করব।’
Discussion about this post