আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গতবার সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় টাইগার জুনিয়ররা। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম নয়, ব্যাটিং ব্যর্থতায় ষষ্ঠতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। বুধবার কুইন্সটাউনে আফিফ হোসেন ও শাকিল হোসেন ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই যোগ্যতার পরিধিটা দেখাতে পারেন নি। তাইতো দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের বিপক্ষে ১৭৮ রান তুলে। জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়ারা জিতে ৬৯ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই।
গোটা যুব বিশ্বকাপেই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন আফিফ হোসেন। এদিনও দলের মহাবিপর্যয়ে এ বাঁহাতি ধরলেন হাল। ষষ্ঠ উইকেটে সাকিল হোসেনের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন তিনি। যেখানে তার অবদান ৫৯ বলে ৭টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৩ রান। যুব বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে আফিফের এটি চতুর্থ ফিফটি। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শাকিল হোসেন করেন ৬১। দশে নেমে টিপু সুলতান ১৮। এর পরও জুনিয়র টাইগাররা গুটিয়ে যায় ৪১.৪ ওভারেই।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন জোন্স। আখোনা এমনায়াকা নেন ৩টি উইকেট।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শুরুটা ভাল করতে না পারলেও জিততে কোনো সমস্যা হয়নি প্রোটিয়া যুবাদের। তৃতীয় উইকেটে ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রেনার্ড ফন টোন্ডার ও হারমান রোলফেস কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন দলকে। ৯৯ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন ফন টোন্ডার, ৫১ বলে ৪৪ রানে রোলফেস। বাংলাদেশের হয়ে ১টি উইকেট নেন কাজী অনিক ও রনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪১.৪ ওভারে ১৭৮ (সাইফ ১, নাঈম ২, আমিনুল ৭, হৃদয় ১, আফিফ ৬৩, রাকিব ২, শাকিল ৬১, অনিক ১৩, হাসান ০, টিপু ১৮*, রনি ০; জোন্স ৫/৩৩, এমনায়াকা ৩/২৭, রোলফেস ০/২৭, মোলেফে ০/২৫, স্মিথ ০/৩৮, ডি ক্লার্ক ১/২৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৮.৩ ওভারে ১৮০/২ (ব্রিটজকে ৩৬, পিল্লাই ১২, ফন টোন্ডার ৮২*, রোলফোস ৪৪*; হাসান ০/২৮, রনি ১/২১, অনিক ১/৩১, টিপু ০/৩৯, আফিফ ০/২৮, রাকিব ০/১৬, সাইফ ০/১৭)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ফ্রাসার জোন্স
Discussion about this post