ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ দলের পেস ইউনিটে সম্প্রতি হানা দিয়েছে চোট। যে কারণে ঘরের মাঠে আসন্ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন চৌধুরীকে পাবে না টিম টাইগার্স। এদিকে আবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে ব্যস্ত থাকায় খেলবেন না মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি থাকলে বাকি পেসারদের ওপর চাপ কমত। আসছে সিরিজ মিস করলেও টেস্টের মতো অভিজাত ফরম্যাটে মোস্তাফিজের মত বিশ্বমানের পেসারকে পেতে চান সুজন।
মোস্তাফিজের ব্যাপারে শনিবার সুজন বলেন, ‘আমি তো চাই মোস্তাফিজ টেস্ট খেলুক। কেন না? আমাদের তো এত বোলার নেই। হাতে গুনলে এবাদত, তাসকিন, শরিফুল, খালেদ, রাহী… এরপর বোলার কই? বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলারই তো মুস্তাফিজ। অভিজ্ঞতা বলুন, নৈপুণ্য বলুন, টেকনিক-টেকটিকস বলুন। এসব দিক থেকে তো মুস্তাফিজই সেরা।’
তাসকিন ও শরিফুল নিয়মিত খেলছেন তিন ফরম্যাটে। যে কারণে তাদের চোটের পড়া শঙ্কাও বেশি। ইঞ্জুরিপ্রবণতা কাটিয়ে উঠতে তাদের বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা সুজনের, ‘আমাদের ছেলেরা স্টার্ক, হ্যাজলউডের মত না। আমাদের এরা ইঞ্জুরিপ্রবণ। সুতরাং আমরা চাই সবাই বিরতি নিয়ে নিয়ে খেলুক। তাহলে লম্বা সময় ধরে ওদের সার্ভিস পাব। এমনিই শক্তি কম। তার মধ্যে যদি সেরাদের ছাড়া খেলি! আজ তাসকিন ইঞ্জুরড। আমাদের মূল বোলারদের একজন খেলতে পারবে না। মুস্তাফিজ থাকলে দলের ভারসাম্য ঠিক থাকত। শরিফুলও যেকোনো সময় ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে। তাসকিন ও শরিফুল এমন খেলোয়াড় যারা যেকোনো সময় ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজ থাকলে আমরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাতে পারতাম।’
অনেকেই মনে করেন, মোস্তাফিজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বেশি কার্যকরী। তবে টেস্টেও মুস্তাফিজ প্রতিপক্ষের হুমকি হয়ে ওঠার সামর্থ্য রাখেন, মনে করেন সুজন, ‘মোস্তাফিজকে এখানে সাহায্য করার জন্য হলেও রাখা উচিৎ। বোলার যখন তৈরি হয়ে যাবে তখন হয়ত মুস্তাফিজকে প্রয়োজন হবে না। আমি এটা জানি সাদা বলে মুস্তাফিজ ভয়ংকর। কিন্তু এটাও জানি, লাল বলেও সে প্রতিপক্ষের কাছে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।’
সুজন আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি মোস্তাফিজ বুঝবে। ওকে আমাদের দরকার। এ মুহূর্তে ওকে খুবই প্রয়োজন। ক্রিকেট বোর্ড মানেই মোস্তাফিজ, মোস্তাফিজ মানেই ক্রিকেট বোর্ড। এটা তো আলাদা কিছু না।’
Discussion about this post