দলে ছিলেন না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জ, দুই অলরাউন্ডার তিলকারত্নে দিলশান ও মোহাম্মদ নবী। তারাই ছাড়াই বৃহস্পতিবার শেখ জামালের মুখোমুখি হয়ে ভরাডুবি হল মোহামেডানের। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বৃহস্পতিবার শেখ জামাল প্রথম ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৩০৬ রানের হিমালয় সমান স্কোর গড়ে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০। আর শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা করেছেন বল সমান ৫১। এ জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে শক্ত ভিত গড়ে উঠলেও ৩০০ পর্যন্ত যাওয়ার কথা নয়। তা সম্ভব হয়েছে আফগান যুবা গুলবাদিন নাইবের ব্যাটিং তাণ্ডবে।
দুই ওপেনার জহুরুল (৫৭ বলে ৩৩)-জুনায়েদ (৭১ বলে ৪৭) একটা সুদৃঢ় ভিত গড়ে দেন। প্রথম উইকেটে ওঠে ৬৭ রান। সেই সাজানো পথে হাঁটেন মুনাবিরা আর মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে ওঠে ৫২। মুনাবিরা ৫০ বলে ৫১ করে আউট হন। অধিনায়ক মুশফিক তারচেয়ে হাত খুলে ৩৬ বলে ৫০ রান করলেও পঞ্চাশ পূরণের পরপরই তাকে ফেরান অজন্তা মেন্ডিস। এ ম্যাচে মোহামেডানে নাম লেখানো এ লঙ্কান ঠিক তিন বল পরই বোল্ড করে দেন জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডার চিগুম্বুরাকে (০)। ৩৮ বলে পঞ্চাশে পৌঁছা গুলবাদিন শেষদিকে উইকেটের চারদিকে আক্রমণাÍক শটস খেলে রান চাকা সচল করেন। শেষ ১৬ বলে তুলে নেন ৪৩ রান। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৯৩ রানে নটআউট থাকা এ আফগান চারের (ছয়টি) চেয়ে ছক্কা হাঁকান বেশি (সাতটি)। তার উত্তাল উইলোবাজিতে শেখ জামালের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৬।
শ্রীলঙ্কান ওপেনার উপল থারাঙ্গা ইনিংসের প্রথম ওভারে ০ রানে ফিরে যান। এরপর গুলবাদিন চতুর্থ ওভারে এ ম্যাচের অধিনায়ক রাজিনকে আউট করলে চাপে পড়ে মোহামেডান। সেই চাপটা তিনগুণ হয় জিম্বাবুয়ান পেসার চিগুম্বুরার বলে। এ থার্ড সিমার ১৩ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটালে মোহামেডান গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে কম রানে অলআউটের লজ্জায় ডোবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
শেখ জামাল : ৩০৬/৮, ৫০ ওভার (জহুরুল ৩৩, জুনায়েদ ৪৭, দিলশান মুনাবিরা ৫১, মুশফিক ৫০, গুলবাদিন নাইব ৯৩, বাশার ২২; অজন্তা মেন্ডিস ৩/৫৫)। মোহামেডান : ৬৭/১০, ২২.৪ ওভার (শামসুর রহমান শুভ ২২, গুনারত্নে ১৪; চিগুম্বুরা ৪/১৩, ইলিয়াস সানি ২/৪)। ফল : শেখ জামাল ২৩৯ রানে জয়ী।
Discussion about this post